সংবাদ হাজারদুয়ারী ওয়েবডেস্কঃ আরজিকর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ ঘটনার আঁচ লেগেছে দেশে। ছি ছিক্কার পড়ে গিয়েছে দেশে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সহ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। প্রতিবাদে সামিল হয়েছে দেশের বড় বড় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকরাও। তারমধ্যেই সেই ঘটনায় মেয়েদের একলা চলার সমালোচনায় মুখর সমাজের একাংশ। সেই সঙ্গেই সমাজের একাংশ মেয়েদের রাতে বাড়ির বাইরে না থাকার নিদানও দিয়েছেন। শুধু এক্ষেত্রে নয়, যখনই কোনও নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে সমাজে তখনই নারীকে একলা চলায় রাশ টানতে চেয়েছে সমাজের একাংশ। কিন্তু কেন মেয়েরা রাতে নিরাপদ নয়? এই প্রশ্ন তুলে মেয়েরা বারবার আওয়াজ তুলেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

আরজিকর কান্ডের প্রশ্ন তুলে ১৫ অগাস্ট মধ্যরাতে কলকাতা, নৈহাটি, বহরমপুরে “দ্যা নাইট ইস আওয়ার” বা ‘মেয়েরা রাতের দখল নিন’ শিরোনামে একটি জমায়েতের ডাক দিয়েছেন মেয়েরা। যা এই মুহূর্তে ব্যক্তিক্রমী স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হতে চলেছে। একইসঙ্গে তাঁরা আরজিকরের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি দ্রুত তদন্ত শেষ ও দোষিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিও তুলেছেন।
আর সেই জমায়েতকে সমাজমাধ্যমে ‘নাটক’ বলে দেগে দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক ও প্রাক্তন মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। আর সেই প্রসঙ্গেই টেনে এনেছেন বাংলায় ৩৪ বছরের বাম রাজত্বকাল। এক্স হ্যাণ্ডেলে তিনি লিখেছেন, ” সিপিএমের বিপ্লবীরা আগে বর্ণালী দত্ত, ডাঃ অনিতা দেওয়ান, তাপসী মালিক, ধানতলা, নন্দীগ্রামের হিসেব দিক। আর রাতের জমায়েত? রোজ রাত আর ভোরে এই বাংলায় অসংখ্য মা, বোন যাতায়াত করেন। গ্রাম থেকে স্টেশন, রেল ধরে শহর। কতরকম কাজ। দেখুন। বুঝুন। রাত জমায়েতের নাটক দরকার নেই।”

যদিও মেয়েদের এই ধরনের আন্দোলন এই বঙ্গেই প্রথম নয়। বিশ্বজুড়ে নারীরা নিজেদের স্বাধীনতার দাবিতে এর আগেও এই পদ্ধতিতে আন্দোলন করেছেন। দিল্লির গণধর্ষণের ঘটনাতেও মেয়েরা ‘রিক্লেম দ্যা নাইট’ বলে ডাক দিয়ে পথে নেমেছিল রাস্তায়। আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে তখনও বাংলায় বাম শাসন শুরু হয়নি সেই ১৯৭৫ সালে। সেবার আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায় এক মহিলা মাইক্রোবায়লজিস্ট খুনের ঘটনায় “টেক ব্যাক দ্যা নাইট’ শিরোনামে একটি আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন মেয়েরাই।