উত্তরবঙ্গে ‘ডন’ পুলিশ ? এনকাউন্টারে মৃত বন্দি

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জল বিয়োগের নাম করে মাঝপথে রাস্তায় নেমে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিল বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক হোসেন। ২০১৯ সালে এক ব্যবসায়ীকে খুনের মামলায় সে মূল অভিযুক্ত। সেই পলাতক বন্দিকে এনকাউন্টারে মারল রাজ্য পুলিশ। বাংলাদেশ লাগোয়া গোয়ালতোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে।

তবে হেফাজত থেকে পালানো বন্দিকে যে এনকাউন্টারেও মারতে পারে পুলিশ তেমনই একটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। গত বুধবার ইসলামপুর মহকুমা আদালত থেকে পুলিশের ভ্যানে আদালতে থেকে হাজিরা দিয়ে জেলে ফেরত যাওয়ার সময় সাজ্জাক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশের দাবি, প্রস্রাব করার নাম করে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে সে গুলি চালায়। গুলিতে জখম হন রায়গঞ্জ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর নীলকান্ত সরকার ও কনস্টেবল দেবেন বৈশ্য।

আহত ওই দুই পুলিশকর্মীকে হাসপাতালে দেখতে তড়িঘড়ি মাটিগাড়া হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন রাজীব কুমার। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, পুলিশের উপর কোনও ‘ক্রিমিনাল’ গুলি চালালে, চার গুণ গুলি চলবে। হামলা হলে কড়া হাতে তার মোকাবিলা করা হবে বলেও জানান রাজীব কুমার। পুলিশ সাজ্জাক আলমকে ধরার জন্য ২ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছিল।

এদিন ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভিদ শামিম বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি চালায় সাজ্জাক। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে জখম হয় সাজ্জাক। তাঁকে স্থানীয় ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে কত রাউন্ড গুলির বিনিময়ে সাজ্জাকের প্রাণ গিয়েছে তা অবশ্য বলেননি রাজ্য পুলিশের এই শীর্ষ কর্তা।

তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি বন্দির হাতে আগ্নেয়াস্ত্র এলো কোথা থেকে ? গত বুধবার যে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে সাজ্জাক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল সেই আগ্নেয়াস্ত্রই এদিন সে ব্যবহার করেছিল কি না তাও পরিস্কার করেনি পুলিশ। শনিবার সাজ্জাকের ছোড়া গুলিতে কেউ আহত না হলেও এদিন পুলিশ কমপক্ষে তিনটি যে গুলি ছুড়েছে তা ওই বিচারাধীন বন্দির কাঁধে, পায়ে ও পিঠে গুলির চিহ্ন দেখে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।

তবে সাজ্জাকের সঙ্গে আরও এক দুষ্কৃতি আবাল ওরফে আব্দুল হোসেনকেও খুঁজছে। সাজ্জাককে সেই আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করত বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে। মাদক পাচারে অভিযুক্ত আবাল মুর্শিদাবাদে বহরমপুর সংশোধনাগারে বন্দি থাকলেও পরে সে মুক্তি পায়। সাজ্জাককে জেল থেকে মুক্ত করতেই পুলিশকে গুলি চালানোর ছক কষা হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights