
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হুমায়ুন কবীর। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সম্প্রতি দল বিরোধী মন্তব্যের জন্য তাঁকে দল শো-কজ করেছে। তার জবাবও তিনি দিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে কিছুতেই বিতর্ক থেকে সরানো যাচ্ছে না। শনিবার ফের বেলাইন হুমায়ুন। চাপে পড়ে বদলালেন বয়ানও।
হুমায়ুন তাঁর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা করেছিলেন। একইসঙ্গে জেলার দায়িত্বে থাকা নেতাদের বিরুদ্ধেও তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দাবি করেছিলেন দলে তাঁর কথার কেউ গুরুত্ব দেয় না বলে। তবে দলের সমালোচনা করা তাঁর নতুন নয়। তিনি বরাবরই ঠোঁট কাটা। দলের মধ্যে অনেকে তাঁর এই স্বভাবের জন্য আড়ালে কালিদাস বলেও ডাকে। আর যখনই হুমায়ুন বেফাঁস কথা বলেছেন, সাম্প্রতিক অতীতে তাঁর পক্ষ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের কোন্দলকে কৌশলে উসকে দিয়েছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী।
এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পোড় খাওয়া রাজনীতিক অধীর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, হুমায়ুনকে তিনি কংগ্রেসে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁকে হারানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুমায়ুনকে দিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করিয়েছেন। কিন্তু হুমায়ুন যখন দলের বিপক্ষে গিয়ে প্রকাশ্যে ‘সত্যি’ কথা বলেছেন তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন। হয়ত আগামীদিনে দল তাঁকে টিকিট নাও দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন অধীর। তবে কী অধীর, হুমায়ুন ফের কাছাকাছি আসতে চলেছেন ? ওঠে প্রশ্ন।
সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে আবেগতাড়িত হুমায়ুন বলেন, ” অধীর দা’র সঙ্গে আমার ১৯৮২ সাল থেকে চেনাজানা। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। আমার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তাঁর কথা হলেও আমার সঙ্গে তাঁর বছর দুয়েক কোনও সম্পর্ক নেই। অধীর দা’র প্রতি আমার দুর্বলতা রয়েছে। কৃতজ্ঞতা রয়েছে। ” এতেই শোরগোল পড়ে যায় জেলায়। খবর পৌঁছে যায় তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কানে। পরিস্থিতি বুঝে কৌশলে অধীর চৌধুরীর সমর্থকরা একটি ফেসবুক পোস্ট করে লেখেন “যতই কাঁদো তোমার আর জায়গা হবে না গো”।

সে কথা ভরতপুরের বিধায়ককে জানানো হলে তিনি ফোনে বলেন, ” আমি ক্ষেপেছি না কি যে অধীর চৌধুরীর দলে যাব। যে ইস্যুতে দল ছেড়েছি সেই ইস্যুই এখনও সমাধান হয়নি ওখানে। আসলে সাংবাদিকরা তিলকে তাল করেছে। আমাকে কেন সাপোর্ট করছেন উনি তা বোঝাতে গিয়ে কথাগুলো বলেছি মানে আমি কি কংগ্রেস করতে যাচ্ছি? আমার যা ভোট ব্যাঙ্ক আছে তা পশ্চিমবাংলার কংগ্রেসের নেই।”