সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কথা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে বিনীত গোয়েলকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরিয়েই দিলেন মঙ্গলবার। ওইদিনই কলকাতার পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা। কর্মজীবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন এই আইপিএস। এদিন একইসঙ্গে আইপিএস অভিষেক গুপ্তাকেও ডিসি নর্থ থেকে সরিয়ে দেন পুলিশ মন্ত্রী। তাঁকে ইএফআর সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের সিও করা হয়েছে।

নিহত পিজিটির দেহ নিয়ে নয় অগস্ট রাত্রে যখন পুলিশ চলে যাচ্ছিল তখন পুলিশের গাড়ি আটকে ছিলেন বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেই সময় মীনাক্ষীর গায়ে হাত দিয়ে তাঁকে অসম্মানিত করেছেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা। সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো ইমেলে মীনাক্ষী অভিযোগ করেছিলেন, ” … উপস্থিত পুলিশের একাংশ অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্বে কোনোরকম মহিলা পুলিশের অনুপস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার নামে বিনা প্ররোচনায় সচেতনভাবে ও ইচ্ছাকৃতভাবে আমার বুকে ধাক্কা মারে, কয়েকটি সজোরে ঘুষি চালায়, মহিলা পুলিশ ছাড়াই বহু সংখ্যক পুরুষ পুলিশ আমাদের ধাক্কা দেয়, মারে।” সেই ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে ওই পুলিশ আধিকারিককে সরানো হয়েছে ঠিকই। তবে বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভাল চোখে দেখেননি। মহিলার গায়ে হাত দিয়ে বিক্ষোভ সরানোর জন্য আজ নয় কাল তাঁকে ওই পদ থেকে সরানো হতই। সেই কাজটা তাড়াতাড়িই হল। তাঁর জায়গায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার থেকে দীপক সরকারকে এনে ওই পদে বসানো হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি পদ অবশ্য ফাঁকাই আছে।
শুধু অভিষেক বা বিনীত নয়, এদিন আর এক দক্ষ আইপিএস জাভেদ শামিমকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে বসিয়েছে নবান্ন। বিনীতকে এসটিএফের এডিজি করে ওই পদে থাকা ত্রিপুরারি অর্থবকে দুর্নীতি দমন শাখার এডিজি করা হয়েছে। ওই পদে থাকা আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকে এডিজি আইবি করা হয়েছে।