সংবাদ প্রতিনিধি, মুর্শিদাবাদঃ শর্ত সাপেক্ষে শীর্ষ আদালত মঙ্গলবার জামিন দিয়েছে জীবন কৃষ্ণ সাহাকে। বড়ঞার বিধায়ক জীবন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত। ২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। ১৭এপ্রিল তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি।
তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য নিজের ব্যবহৃত দুটি ফোন বাড়ির পুকরে ফেলে দিয়েছিলেন। এদিন সেই তথ্য দিয়ে আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবিরা জামিনের বিরোধিতা করলে তা ধোপে টেকেনি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও দুই অভিযুক্ত প্রসন্ন রায় এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জামিন পেয়েছেন। মূলত প্রসন্নের সঙ্গে তাঁর লেনদেন ছিল বলে সিবিআই দাবি করেছে।
১৩ মে হয়ে গেল বহরমপুরে লোকসভা নির্বাচন। দিনভর বড়ঞার নাম ছড়াল বিক্ষিপ্ত অশান্তির কারণে। সেই বড়ঞাতেই তিনি ফিরছেন। তবে তাঁর জামিনে মুক্তি পাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বড়ঞার তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে পদে থাকা জেলা নেতারা। দলের প্রাক্তন জেলা চেয়ারম্যান বলেন, “এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করবো না।” মন্তব্য করতে চাননি শাওনি সিংহরায়। প্রসঙ্গ এড়িয়েছেন একাধিক জেলা নেতা।
আরও পড়ুনঃ ভাগীরথীর দু’পারে উড়ল দুটি নাম, অধীর না নির্মল?
তবে কী দল দূরত্ব বাড়াচ্ছে জীবনের সঙ্গে। সে ব্যাপারেও নেতাদের একাংশের কেউ বলেন ” বিষয়টি বিচারাধীন এই নিয়ে কিছু বলব না।” কেউ বলেন “আমি ছোট খাটো নেতা অতবড় নেতাদের ব্যপারে আমার মন্তব্য সাজে না।” কেউ বলেন, “আমার সঙ্গে কোনওদিন তেমন ঘনিষ্ঠতা ছিল না। জামিন পেয়ে আসার পরেও বাড়িতে চা খেতে যাব না।” সম্প্রতী ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছেন “জীবন বিধায়ক হওয়ার আগেই দুর্নীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন। দলের কাছে স্পষ্ট খবর থাকলে দল হয়ত তাঁকে প্রার্থী করত না।” এদিন অবশ্য তিনিও কোনও মন্তব্য করবেন না জানিয়ে বলেন, “আদালত মনে করেছে জামিন দিয়েছে এ ব্যাপারে আমার আর কী বলার থাকতে পারে।”