পথচলা শুরু হল বহু প্রতীক্ষিত মুর্শিদাবাদ ভবনের

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের পালা বদলের পর কেটে গিয়েছে ১৪টি বছর। এরমধ্যেই মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের দেওয়ালে লেখা হয়ে গিয়েছে কত শত রোমাঞ্চকর কাহিনী। বাম, কংগ্রেসকে সরিয়ে এখন তা ঘাসফুলের দখলে। যদিও জেলা পরিষদের দেওয়ালে কান পাতলে ভেসে আসে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে চেয়ারের নড়বড়ে শব্দ। এমন অবস্থায় জুম্মা বারে কলকাতার রাজারহাটে নবনির্মিত “মুর্শিদাবাদ ভবন” এর দ্বারোদঘাটন হল। চারতলা এই ভবনে এসি সহ ১৬টি ঘর আছে। আছে চারটি সম্মেলন কক্ষও। যা দেখে বামেরা বলল তাঁদের উদ্দেশ্য এমন ছিল না, ভবনের নামে হোটেল বানিয়ে দিল বর্তমান শাসক দল।

২০১০ সাল। রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম জমানার অন্তিম লগ্ন। সেই সময় মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদ বামেদের দখলে ছিল। পূর্ণিমা দাস তখন সভাধিপতি। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ সিংহ রায়। ওই আমলেই মুর্শিদাবাদের সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে সরকারের কাছে ‘মুর্শিদাবাদ ভবন’ তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে। ৩৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রাজারহাটে জমিও দেয় সরকার। যদিও ছাড়পত্র মেলে তৃণমূল আমলে। কিন্তু কাজ আর এগোয়নি।

২০১৩ সালে জেলাপরিষদ কংগ্রেসের দখলে এলেও মাঝপথে তৎকালীন সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদারকে সরিয়ে জেলাপরিষদের অন্দরে ঘাসফুল ফোটান বৈদ্যনাথ দাসরা। সেটা ২০১৬ সাল। তারমধ্যে অবশ্য রাজারহাটের জমিতে পাঁচিল তৈরির কাজ হয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালে নির্বাচনে জিতে সভাধিপতি হন মোশারফ হোসেন ওরফে মধু। তাঁর আমলে নক্সা তৈরি হয় ভবনের। কিন্তু বছর তিনেক পরে মোশারফ হোসেনকে সরিয়ে ওই পদে বসেন সামসুজ্জোহা বিশ্বাস। বর্তমান সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার আমলে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে অবশেষে নির্মিত হল মুর্শিদাবাদ ভবন।।

সামসুজ্জোহার দাবি, এই ভবন নির্মাণের ফলে জেলার মানুষ অল্প পয়সায় ভালভাবে থাকা খাওয়ার জায়গা পাবে কলকাতায়। তবে প্রয়োজনে ভবন সংস্কার করে ঘর সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি। সিপিএম নেতা সোমনাথ অবশ্য বলছেন, ” এই ভবন সাধারণ মানুষের কোনও কাজে লাগবে না। একগাদা টাকা ভাড়া দিয়ে থাকার জন্য আমরা সেদিন মুর্শিদাবাদ ভবনের প্রস্তাব দিইনি। আমরা চেয়েছিলাম জেলাপরিষদ এই ভবনের ভার নেবে। অল্প পয়সায় মানুষ থাকা খাওয়া করতে পারবে। এখন তাকে হোটেল বানিয়ে একজন ঠিকাদারকে ভবন দেখাশোনার ভার দিল তৃণমূল। কলকাতায় হাসপাতালের পাশে এর থেকে সস্তায় ভাল হোটেল পাওয়া যায়। আসলে এসবই হল এদের আর পাঁচটা দিয়ে থুয়ে থাকার মতো আরও একটি প্রকল্প।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights