সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ” আমার শরীরের যাবতীয় ইচ্ছে অনিচ্ছার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র আমারই” (MyBodyMychoice)। নারীর এই ইচ্ছেকেই মর্যাদা দিল ফ্রান্স সরকার। বিশ্বে প্রথম কোনও দেশের পার্লামেন্টের দুই কক্ষই গর্ভপাতকে (Abortion) আইনি স্বীকৃতি দিল। যা নজিরবিহীন তো বটেই। সাহসীও বলছেন অভিজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স (Reuters) এই খবর জানিয়েছে।
সোমবার (মার্চ-৪,২০২৪) সংসদের দুই কক্ষের বিশেষ যৌথ ভোটে, প্যারিসের ঠিক বাইরে, ভার্সাই প্রাসাদের সোনালী ছাদের নীচে, সংসদের দুই কক্ষের বিশেষ যৌথ ভোটে, সংসদ সদস্য এবং সিনেটররা এই পদক্ষেপকে অপ্রতিরোধ্যভাবে সমর্থন করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই দুই কক্ষের ৭৮০ জনের সমর্থনের কাছে ৭২ জনের অসমর্থন অবশ্য ধোপে টেকেনি ।
আর সেই ফলাফল যখন বড় স্ক্রীনে ফুটে উঠছে ,যখন সে দেশের আইন প্রণেতারা সমাজের কাছে, নারীদের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছেন MyBodyMychoice, বাইরে তখন মুহুর্মুহু করতালিতে ফেটে পড়ছেন গর্ভপাত অধিকারকর্মীরা। তখন ঝলমল করছে সুউচ্চ আইফেল টাওয়ার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ফ্রান্সে গর্ভপাতের অধিকার ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ গর্ভপাতকে বৈধ বলে সমর্থন করেছে। প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল ভোটের আগে আইন প্রণেতাদের বলেছেন, ” আমরা সমস্ত নারীদের কাছে একটি বার্তা পাঠাচ্ছি: আপনার শরীর আপনার এবং কেউ আপনার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।”
তবে বর্তমান সরকারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বীজ বপন হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। রয়টার্সের দাবি, সেই সময় এই আইনের বিরোধীতা এতটাই বেশি ছিল তা আলোর মুখ দেখেনি। এবারেও এই ঐতিহাসিক রায়কে নারী অধিকার গোষ্ঠীরা স্বাগত জানালেও গর্ভপাত বিরোধী গোষ্ঠীগুলি কিন্তু আজও সমালোচনায় সরব।