ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রেল অবরোধ নিমতিতায়

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুর্শিদাবাদে এনআরসি বাতিলের স্মৃতি ফিরে এল সোমবার বিকেলে। এবার প্রসঙ্গে ওয়াকফ আইন। দিন কয়েক আগে সংসদের দুই কক্ষেই ওয়াকফ বিল পাশ করিয়েছে বিজেপি সরকার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূও সেই বিলে সই করতে দেরি না করায় দেশে চালু হয়েছে ওয়াকফ আইন। সেই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মুর্শিদাবাদের সুতি বিধানসভার নিমতিতা স্টেশনে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন স্থানীয় মানুষ। কোনও রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক দলের ব্যানার ছাড়াই এই অবরোধ হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অবরোধকারীদের অধিকাংশজনের বাড়ি শমসেরগঞ্জ ও সুতি এলাকায়।

নিমতিতা স্টেশনে সেই সময় দাঁড়িয়ে ছিল সাহেবগঞ্জ-কাটোয়া লোকাল ও উল্টোদিকে আজিমগঞ্জ-মালদা লোকাল। প্রায় ঘন্টা তিনেক বিক্ষোভ চলার পর অবরোধ তুলতে এগিয়ে আসে জিআরপি। কিন্তু তাঁদের কথায় কর্ণপাত না করায় অবরোধ তুলতে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় রেল পুলিশের। ছুটে আসেন রেল পুলিশের কর্তারা।বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে অনুরোধ করেন রেল কর্তারাও। কিন্তু অবরোধ তুলতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের দাবি, অবরোধ হঠাতে বাধ্য হয়ে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। পুলিশের দিকে পাল্টা পাথর ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। পাথর ছোড়া হয় যাত্রীবাহি ট্রেনের দিকেও। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। উত্তেজনা সৃষ্টি হয় নিমতিতা স্টেশনে। বেশ কিছুক্ষণ পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধ চলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। স্টেশনে স্টেশনে থমকে যায় ট্রেন। রাত ন’টার কিছু পরে ফের অবশ্য শুরু হয় ট্রেন চলাচল।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গার মতো বিক্ষোভের আঁচ লেগেছিল নিমতিতা স্টেশনেও। হাওড়া ডিভিশনের এই রেল স্টেশন ভাঙচুর চালিয়ে লণ্ডভন্ড করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সেবার। ততবড় বিক্ষোভ সোমবার না হলেও দীর্ঘক্ষণ ট্রেন অবরোধ ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার ঘটনায় সতর্ক পুলিশ। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রত্যেক স্টেশনে জারি হয়েছে কড়া সতর্কতা। মঙ্গলবার থেকেই সব স্পর্শকাতর স্টেশনে মজুত থাকবে অতিরিক্ত রেলপুলিশ ও আধিকারিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights