আইসিআইয়ের সামনে ফের বিক্ষোভ এসএফআইয়ের

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্ক: ছাত্রদের কাছে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করলেন শিক্ষকরা ? বুধবার স্কুলে ঢোকার মুখে মুর্শিদাবাদ জেলার এস এফ আই কর্মীদের দাবি মেনে কান ধরে ক্ষমা চাইলেন আইসিআই স্কুলের এক সিনিয়র শিক্ষক। যা দৃষ্টিকটূ হলেও রাজনৈতিক আন্দোলনে প্রাথমিক জয় পেল এই বাম ছাত্র সংগঠন।

স্কুলে ভর্তির ফি সরকার নির্ধারিত ২৪০ টাকার বদলে নেওয়া হচ্ছে সাড়ে ১২০০ টাকা। অথচ মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমর কুমার শীল সোমবার জেলা স্কুলগুলিতে সরকারের বেঁধে দেওয়া ফি’র অতিরিক্ত ফি না নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সে কথায় অবশ্য গুরুত্ব দেয়নি কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই অভিযোগ উঠেছিল আইসিআই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও।

গোটা বিষয়টি জানতে মঙ্গলবার এসএফআইয়ের ৫ জন সদস্য বহরমপুর আইসিআই স্কুলে গেলে তাঁদের মারধর করা হয় এবং দুজন নেত্রীর পোশাক ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ফের ICI স্কুলের গেট আটকে বিক্ষোভ-আন্দোলন করেছে SFI এর সদস্যরা। এ দিন প্রধান শিক্ষক-সহ মঙ্গলবারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও করণিককে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয় তাঁরা। এমনকি এক শিক্ষককে কান ধরে ভুল স্বীকার করতেও বাধ্য করেন তাঁরা, দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। সব মিলিয়ে এ দিন স্কুল শুরুতেই ওই ছাত্ৰ সংগঠনের আন্দোলনে পরিস্থিতি উত্তেজিত হলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এ দিকে মঙ্গলবারের ঘটনায় SFI-এর জেলা কমিটির যে ছাত্রী গুরুতর আহত হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এ দিন সেই ছাত্রী-নেত্রী পল্লবী সরকার অসুস্থতা নিয়েই বিক্ষোভ-আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ” বাড়তি ফি নিয়ে দুঃস্থ ছাত্রদের ওপরে বোঝা চাপাচ্ছে স্কুলগুলি। আমরা তার প্রতিবাদ করছি। কিন্তু সেই শান্ত প্রতিবাদকে উত্তেজিত করে গতকাল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করছেন আইসিআই স্কুলের শিক্ষকরা। আজ বুধবার তার প্রতিবাদে স্কুলের সামনে আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি।” এদিন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আশিস মন্ডল বলেন, ” যে ঘটনা ঘটেছে তার দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের শিক্ষকদেরকেও ঝান্ডা দিয়ে মারা হয়েছে। ছাত্রদের ও এই আচরণ কাম্য নয়।”

প্রসঙ্গত, পার্ক সার্কাসের সেভেন পয়েন্ট সংলগ্ন মর্ডান স্কুলের এক ছাত্রী নাসিমা মোল্লা আত্মহত্যা করেছে। অভিযোগ, ভ্যানচালক বাবার পক্ষে স্কুলের ভর্তি ফি বাবদ ১৮০০ টাকা জোগাড় করতে না পারায় সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের। অভিযোগ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ওই স্কুলের পড়ুয়াদের ভর্তির ২৪০ টাকা নেওয়া হলেও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১৬০০ টাকা নেওয়া হয়েছে ডোনেশন বাবদ। এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ মুখ খোলেনি। মডার্ন স্কুলে ১০০ শতাংশ পড়ুয়াই সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights