রুমকি দত্ত, কলকাতাঃ ধর্ষককে ফাঁসি দিতে হবে। এই দাবিতে সরব রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আর সেই মর্মে বিধানসভায় অপরাজিতা বিলও পাস হয়েছে সম্প্রতি। সেই বিল আইনে পরিণত হতে রাষ্ট্রপতির দরজায় পৌঁছেছে। এমন সময় এক ধর্ষককে ফাঁসির হুকুম শোনাল রাজ্যের এক নিম্ন আদালত।
রাজ্য পুলিশ সেই খবর দিয়ে সমাজ মাধ্যমে পোষ্ট ও করেছে। পুলিশ জানিয়েছে ২০২৩ সালের ২১ অগস্ট ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানা এলাকায়। বাড়ি ফেরার তাড়ায় বিশ্বাস করে এক অপরিচিতের সাইকেলে উঠে পরে বছর ষোলোর এক স্কুল ছাত্রী। কিন্তু সেই সাইকেল চালক মেয়েটির বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাকে রবীন্দ্রপল্লীনগরের নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে ইট দিয়ে বারবার মেয়েটির মাথায় আঘাত করে শেষপর্যন্ত খুনও করে ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যে ওই নাবালিকার বাড়ির লোক থানায় নিঁখোজ ডায়েরি করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মাটিগাড়ার লেনিন কলোনি নিবাসী মহম্মদ আব্বাসকে চিহ্নিত করে।
পুলিশি জেরায় ধৃত সবকিছু স্বীকার করে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের সিপি সি. সুধাকরের নেতৃত্বে পুর ঘটনার তদন্ত করেন মাটিগাড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর পরেশ বর্মণ।সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ সংহত করে জমা দেওয়া হয় চার্জশিট।
শনিবার শিলিগুড়ি আদালতের অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছেন। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ আমরা ফাঁসির আবেদন জানিয়েছিলাম। আদালত মূলত দুটি বিষয়ের উপর নজর দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিল। প্রথমত খুন এবং দ্বিতীয়ত নাবালিকাকে ধর্ষণ। পক্সো আইনে মামলা হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’’