সংবাদ প্রতিনিধি, বহরমপুর: আত্মহত্যার মতো চুড়ান্ত পথ বেছে নিল বহরমপুর জে এন একাডেমির অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া। তার নাম যুবরাজ সিদ্ধান্ত (১৪)। ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর কাদাই এলাকায়।
ওই এলাকার আশাবরী আবাসনে তিন তলায় স্ত্রী, পুত্র আর বৃদ্ধ মা কে নিয়ে বাস করেন অনিন্দ্য সিদ্ধান্ত। বহরমপুর জে এন একাডেমিতে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত অনিন্দ্যর ছেলে যুবরাজ। স্কুলে ভালো ছেলে বলে পরিচিত ছিল তার। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া সেকেন্ড সামেটিভ পরীক্ষায় সংস্কৃত ও অঙ্কে তার আশানুরূপ ফল না হওয়ার আশঙ্কা ছিল। সে কথা অনিন্দ্যও স্বীকার করেন। ওই আবাসন সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়ার জন্য মা, বাবা বকাঝকা করেন বলে জানালেও অনিন্দ্য এ ব্যাপারে কিছু জানান নি।
সেই অভিমানেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুবরাজ, মনে করছেন ওই আবাসনের একাধিক বাসিন্দা। আর ও একটি সূত্রে জানা যায়, অনিন্দ্যর বাবা অলক সিদ্ধান্ত রেলে চাকরি করতেন। প্রয়াত বাবার পেনশনের টাকাতেই চলত সংসার। দু একবার ব্যাবসার দিকে পা বাড়ালেও শেষ পর্যন্ত তাও করতে পারেননি অনিন্দ্য। আর তাই নিয়ে বাড়িতে প্রায় সব সময় স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি লেগে থাকতো। যার ঘোরতর বিরোধী ছিল যুবরাজ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ ওই বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয় সে। প্রথমে স্থানীয়রা দেখে বহরমপুর থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুপুর নাগাদ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর দাহ হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
স্কুলের এক পড়ুয়াকে হারিয়ে শোক শিক্ষকদের মনেও। জেএনএকাডেমির প্রধান শিক্ষক পুষ্পেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” আচার ব্যবহারও ভাল ছিল যুবরাজের।”
আরও পড়ুনঃ বহরমপুরে শুরু হল IFA-র আয়োজনে মেয়েদের জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট