
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা প্রাক্তন আমলা জহর সরকারের একটি চিঠি আরজিকর কাণ্ডের আবহে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিল তৃণমূলকে। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলের বিরুদ্ধে জহর একপ্রকার ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সেই চিঠিতে। চার মাস পরে তাঁর ছেড়ে আসা আসনে তৃণমূল মনোনয়ন দিল দলের শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলের অনেকেই ভেবেছিলেন, ওই পদে প্রাক্তন রাজ্য সভার সাংসদ কুনাল ঘোষকে মনোনয়ন দেবে দল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল কুনালকে পিছনে ঠেকে ঋতব্রতকে এগিয়ে দিলেন মমতা। যদিও দুজনের কেউই নতুন কোন পদে বসতে রাজি ছিলেন না।
২০১৪ সালে সিপিএম তরুণ সুবক্তা ঋতব্রতকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল। কিন্তু দলের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন জীবন যাপন ও দল বিরোধী মন্তব্যের জন্য ২০১৭ সালে সিপিএম তাকে বহিঃষ্কার করে। তার আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন বামফ্রন্ট মনোনিত রাজ্য সভার সদস্য। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে দলের শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব পান ঋতব্রত। মমতার এদিনের ঘোষণায় দশ বছর পর পঞ্চাশের দোরগোড়ায় দাঁড়ানো ঋতব্রত ফের রাজ্যসভায় বিজেপিকে বিঁধতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জোড়াফুলের হয়ে।
এই মাসের ২০ তারিখ রাজ্য সভার নির্বাচন। বাংলার একটিমাত্র আসনে লড়াই করবে তৃণমূল। জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া আসনে কাকে পাঠান হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। এদিনের ঘোষণায় জল্পনার অবসান ঘটল। ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋতব্রতও পাল্টা মমতাকে প্রণাম জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সমাজমাধ্যমে। সমাজ মাধ্যমে কুনাল ও ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, “একজন দক্ষ সাংসদ হিসেবে ছাপ রেখেছিল ঋতব্রত। পরে, রাজ্য আই এন টি টি ইউ সি সভাপতি হিসেবেও যোগ্য সংগঠকের পরিচয় দিয়েছে।ঋতব্রতকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।”