
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চোর সন্দেহে এক নাবালককে মারধর করার অভিযোগ উঠল শমসেরগঞ্জের কাঞ্চনতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হল শুলিতলা এলাকা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ রাশিদুল শেখ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। রাশিদুল সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হয়ে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ শমসেরগঞ্জের শুলিতলা পূর্ব পাড়া এলাকায় চোর সন্দেহে এক স্কুল পড়ুয়া নাইম আলমকে মারধর করে এলাকার বাসিন্দারা। নাইম শুলিতলা দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। তাতে নাম জড়ায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মহম্মদ সামিরুল হকের। অভিযোগ, ওই নেতার অনুগামীদের হাতেই নাবালক প্রহৃত হয়। যদিও তা অস্বীকার করেন ওই নেতা। পরে ওই নাবালক ঘটনাস্থল থেকে তাঁর বাড়িতে ফোন করে। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নাবালকের পরিবারের লোকজন। মারমুখি হয়ে ওঠে তারা। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে অন্ধকারে ইঁট পাথর ছুড়তে থাকে। ভেঙে ফেলা হয় গৃহস্থের ঘরের জানলার কাঁচ। মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। পরিস্থিতি অবশ্য় নিয়ন্ত্রণে।
কাঞ্চনতলা গ্রাম পঞ্চায়েত ফরাক্কা বিধানসভার অন্তর্গত। এই ঘটনায় শাসক দলের নেতার নাম জড়ালেও বিধায়ক মণিরুল ইসলাম অবশ্য বলেন ” এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। দু-পক্ষই তৃণমূল। তার মানেই দলের ব্যাপারা বিষয়টি তা নয়।”
তিনি আরও বলেন, ” রাতের অন্ধকারে সোজা রাস্তা ছেড়ে বাগানের মধ্য দিয়ে দুটি ছেলে কেন হেঁটে আসছিল জানা যায়নি। তাদের দেখে এলাকার বাসিন্দারা চোর চোর বলে চিৎকার করলে একজন পালিয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ হয় মানুষের। তার থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। ইঁটপাটকেল ছোড়া থেকে শুনেছি বোমাবাজিও হয় ঘটনাস্থলে। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।” ঘটনার পর আহত নইমকে জঙ্গীপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।