
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বছর দশেক ধরে বিপত্নীক আব্দুর শুকুর মোল্লা। ছেলেরাও সঙ্গ দেয় না আর। সঙ্গীহীন বাকি জীবন কাটানোই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বেলডাঙা এক নম্বর ব্লকের কাজীশাহ গ্রামের এই বাসিন্দার। মাথা গোঁজার ঠাঁইও নড়বড়ে। পাটকাঠি আর বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি একচিলতে কুঁড়ে ঘর। এ ঘরেই একদিন স্ত্রী সন্তান নিয়ে ছিল তাঁর সুখের সংসার। দীর্ঘ রোগ ভোগের পর স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর জীবন যেন থমকে গিয়েছে।সেই জীবনে গতি আনতে তিনি ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান। কিন্তু বাদ সেধেছে কুঁড়ে ঘর।
সেই সমস্যার সমাধান পেতে ছুটে গিয়েছেন এলাকার বিডিও-র কাছে। সটান তাঁর চেম্বারে হাজির হয়ে আব্দার করেছেন আবাস প্রকল্পে তাঁর জন্য একটি ঘর বরাদ্দ করার। আব্দুর শুকুরের দাবি, ‘বহুবার এখানে ওখানে আবেদন করেও সরকারি প্রকল্পে ঘর পাইনি। তাই বিডিও সাহেবের শরণাপন্ন হলাম। তিনি যদি সরকারি প্রকল্পে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেন তাহলে আমার বিয়ে হতে পারে। আমার ঘর দেখে কেউ আমাকে বিয়ে করতে চাইছেন না।”
বৃদ্ধের এই আব্দার শুনে চমকে ওঠেন ওই আধিকারীক। আবার তাঁর অসহায়তাও টের পান। কিন্তু কী ই বা করতে পারেন ওই আমলা? আবাসের তালিকায় তাঁর নেই। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, সমীক্ষার সময় নাম তুলতে এবং ঘর পাওয়ার জন্য একটি আবেদন পত্র তাঁর অফিসে জমা দিতে। তবে কতদিনে সেই ঘর মিলবে তা অবশ্য তাঁকে জানাতে পারেননি বিডিও। আব্দুর শুকুর অবশ্য ঘার পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন, সেই ভেবেই এগোচ্ছেন মন বাঁধতেও।