
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নিম্নচাপের বৃষ্টিতে রবিবার বিকেলে ভিজল শহর বহরমপুর। আর সেই বৃষ্টির বিকেলে শহরের ব্যস্ততম রাস্তা আটকে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। কষ্ট পেল পুরবাসী।
মোহনের মোড় বলে পরিচিত ওই রাস্তার চারদিক কার্যত পুলিশ আটকে দিয়েছিল তৃণমূলের সভা করার জন্য। বৃষ্টির বিকেল থেকে সন্ধ্যা সেই সভার জন্য ঘুর পথে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়রান হতে হল বহরমপুরবাসীকে। কিন্তু কেন? অথচ আয়োজনের তুলনায় ভিড় তেমন হয়নি।
বিকেল পাঁচটা থেকে মোহন মোড়ে সভা হওয়ার কথা আগেই ঘোষণা হয়েছিল সংগঠনের পক্ষ থেকে। সেইমতো হনুমান মন্দিরের গা ঘেঁষে তৈরি হয়েছিল বেশ উঁচু মঞ্চ। তার সামনে বসার জন্য পাতা হয়েছিল চেয়ার। জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে যুবকরা এসে ওই নির্দিষ্ট জায়গায় বসে ভিড় জমাট বাঁধার আগেই তাতে জল ঢেলে দেয় বৃষ্টি। কিছুক্ষণের জোরাল বৃষ্টিতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় সভাস্থল।পরে অবশ্য সভা নিজস্ব ভঙ্গিতে শুরু হলেও নেতাদের বক্তব্য শোনার মতো লোক ছিল না। আকাশের দিকে তাকিয়ে তখন বাড়ির রাস্তা ধরেছেন সাগর মন্ডল, মুস্তাকিন শেখরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য যখন বক্তব্য রাখছেন দর্শক তখন প্রায় শূন্য বললেই চলে।

তবু পুলিশ গার্ড রেল না তুলে আগলে রেখেছিল সভাস্থল। অথচ মোহন মোড় থেকে পুরনো কালেক্টরেট মোড় যাওয়ার রাস্তায় পুরসভা ফ্লেক্স টাঙিয়ে জানিয়ে দিয়েছে কাজ চলছে। অর্থাৎ হয় ধীরে যাতায়াত করুন নয়তো রাস্তা বদলান। জলের পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে পুরসভার। কোথাও নিকাশিনালার জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। বৃষ্টির জলে রাস্তায় জল জমে যাতায়াত যেখানে কষ্টকর তখন একটি রাজনৈতিক দলের সভা ঘিরে পুলিশের এত ব্যস্ততা কেন। এই প্রশ্ন সাধারণ পথ চলতি মানুষের। এই ব্যাপারে বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কিছু বলতে চান নি। তিনিও বক্তা ছিলেন সভায়।

তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বহরমপুর সংগঠনের সভাপতি ভীষ্ম কর্মকারের দাবি,” হাজার দুয়েক লোকের আয়োজন করা হয়েছিল। লোক হয়েছিল দশ হাজার। পুলিশ প্রশাসন সাহায্য করায় বৃষ্টির মধ্যে নির্বিঘ্নে সভা হয়েছে।” সভার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও সন্ধ্যাকালীন বেচাকেনায় অসুবিধা হয়েছে বুঝতে পেরে সভায় উপস্থিত তৃণমূলের বহরমপুর সংগঠনের জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন তাঁদের কাছে।