
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূল মুর্শিদাবাদের উত্তরে “ভদ্রলোক” সাংসদ খলিলুর রহমানকে নেতার আসনে বসিয়ে জেলায় সংগঠন প্রসারিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সাল থেকে সেই খলিলুরের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দলের বিধায়ক থেকে সংগঠনের নেতারা। ২০২৬ এর নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তাঁর প্রতি ক্ষোভ। অবস্থা এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে সেখানে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি বসানোর জন্য রাজ্য নেতাদের কাছে দরবার শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।
কালীপুজোর আগের দিন জঙ্গিপুরের যুব সংগঠন বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল রঘুনাথগঞ্জ রবীন্দ্রভবনে। সেই অনুষ্ঠানে উত্তর মুর্শিদাবাদের ন’জন বিধায়ক ও এক সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি কামাল হোসেন। কিন্তু বিধায়ক জাকির হোসেন ও কানাই মন্ডল অনুপস্থিত। তাঁদের সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসেননি সাংসদ ও দলের সভাপতি খলিলুর। মূল বক্তা হিসেবে এই অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়েছিল ইটাহারের বিধায়ক তথা সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি মোসারফ হোসেনকে।
সূত্রের দাবি, সভাপতি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের একাংশ প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে যুব বা তরুণ নেতাদের বিরোধ। নির্বাচন যতো এগিয়ে আসছে ততো প্রবীণ নেতারা পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চেষ্টা করছেন। এলাকায় দলে যোগ্য নেতা থাকলেও আত্মীয় বা পুত্র সন্তানদের এগিয়ে দিচ্ছেন নেতারা। কামালও বলেন ” আমাদের জঙ্গিপুরের সংগঠন পুঁজিবাদের হাতে চলে যাচ্ছে।” সরাসরি খলিলুরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ” জেলা সভাপতি এক নায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। দলে যোগ্য নেতা, নতুন নেতাদের প্রতি ওঁর এলার্জি। দলের শাখা সংগঠনকে গুরুত্ব দেন না।” অথচ এদিনের মূল বক্তা সংগঠনে যুবদের প্রতি ভরসা দেখিয়ে তাঁদের প্রশংসা করেছেন।
আর সেসব থেকেই দলের নিচুতলায় বাড়ছে ক্ষোভ। কামাল বলেন, ” আমরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছি দলের রাজ্য নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানোর। আমরা দাবি করছি জেলায় একটি শৃঙ্খলা কমিটি বসানো হোক। তাঁরা দেখুক কারা সত্যি বলছে আর কারা মিথ্যে বলছে।” এবিষয়ে জানতে খলিলুরকে ফোন করলেও মেলেনি উত্তর।