
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ যাঁকে ভালবেসে ঘর বাঁধবার স্বপ্ন দেখেছিলেন মুর্শিদাবাদের বহড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক পৌলমী বিজয়পুরী, তাঁকে না বলেছেন বাবা মা। আর তাতেই অবসাদে ওই তরুণী চিকিৎসক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি উঠেছে তাঁর প্রতিবেশী ও বন্ধু মহলে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে।
শনিবার রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সালারের কাজী পাড়ার বাসিন্দা কিরণ শেখ (১৮)। তিনি চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বিয়ে করেছিলেন তাঁরই প্রতিবেশী এক তরুণীকে। তরুণীর এর আগে দু-বার বিয়ে হয়েছে। তাঁর সঙ্গেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল কিরণের। বাড়ির অমতে গিয়ে গোপনে বিয়ে করেছে ছেলে, কিন্তু ওই তরুণীকে বউমা’র মর্যাদা দিতে নারাজ কিরণের বাবা, মা। সেই মানসিক চাপেই ওই তরুণ আত্মহত্যা করেছে বলে মনে করছে পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখায় আপ বালুরঘাট এক্সপ্রেসের সামনে ঝাঁপ দেন কিরণ। পরে রেল পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পরিবারের লোক এসে কিরণের দেহ শনাক্ত করে।
বেলডাঙার সত্তরপুরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সাগর হালদারের নিথর দেহ উদ্ধার হয় শনিবার। পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করে ফিরে মোবাইল গেম খেলেছিল অনেক রাত পর্যন্ত। ‘ফ্রি ফায়ার’ নামক একটি মোবাইল গেম খেলা নিয়েই বন্ধুদের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় সে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি সাগরের বাবা নীলরতন হালদারের। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
তরুণ প্রজন্মের এই আত্মহত্যার প্রবণতা কেন? মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ” এটা একটা সামাজিক ব্যাধি। এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। যে মানুষটা আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে সে তাৎক্ষণিক আবেগে অথবা পরিকল্পিত আবেগেও আত্মহত্যা করতে পারে। পরিকল্পিতভাবে যে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে তারমধ্যে নব্বই শতাংশ মানুষ একমাসের মধ্যে, সত্তর শতাংশ মানুষ সাত দিনের মধ্যে কোনও না কোনও ইঙ্গিত দিয়ে যাবে তাঁর প্রিয়জনকে যে সে চরম সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।”