লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের একবার রাজ্য জুড়ে আমলা (WBCS officer) অদলবদল করল নবান্ন।
সংবাদ প্রতিনিধি, কলকাতাঃ চলতি মাসের পয়লা তারিখেই রাজ্যের ২৩টি জেলার ৪৮ জন আমলাকে (WBCS officer) সরিয়ে নড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পালন করেছিল নবান্ন। আজকের নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, ২০০৪ ব্যাচের WBCS officer বিশ্বরঞ্জন মুখার্জীকে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ADM East Bardhaman) করে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে আরও ন’জন বিভিন্ন WBCS officerকে এদিক ওদিকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। একইভাবে সরানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের দেশপ্রাণ ব্লকের বিডিও, হলদিয়া ব্লকের বিডিওকে।
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে জেলা প্রশাসনিক অফিস চত্বরে প্রশাসনিক সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই এক জেলার তিন আমলাকে সরানো নিয়ে প্রশাসনিক অলিন্দে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। বীরভূমের সৌরভ মাজিকে হলদিয়ায় আর পূর্ব বর্ধমানের শুভাশিস মজুমদারকে দেশপ্রাণ ব্লকে পাঠানো হয়েছ বিডিও পদে।
আরও পড়ুনঃ Murshidabad Congress: দলবদলুদের প্রার্থী নয়,দাবি
আর একটি নির্দেশে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের বিডিও শঙ্খদীপ দাসকে মুর্শিদাবাদের DMDC হিসেবে পাঠানো হয়েছে। জেলা থেকে তাঁকে কোনও একটি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হবে। একইভাবে মুর্শিদাবাদের DMDC দিব্যেন্দু সরকারকে সরিয়ে ইটাহারের বিডিও-র দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ এসেছে। গত বছর অক্টোবরে রাজ্য জুড়ে যে চারশো জন আধিকারিকের বদলির নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন, সেই তালিকার অনুযায়ী মুর্শিদাবাদে এসেছিল দিব্যেন্দু।
আবার আজকের নির্দেশ অনুযায়ী ক্যানিং ২ ব্লকের বিডিও ওয়ারশিদ খানকে একজন DMDC হিসেবে কোচবিহারে পাঠানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারীর ১৬ তারিখে নবান্ন একটি বদলির নির্দেশ দিয়েছিল। সেই তালিকাতেও তার নাম ছিল। সেই নির্দেশে তাঁকে ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও করে পাঠানো হয়েছিল। আর তাঁর জায়গায় পাঠানো হয়েছিল ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকে।

চার মাসের মাথায় ফের মুর্শিদাবাদ জেলায় তাঁর বদলির নির্দেশ দেওয়ায় বিতর্ক বাঁধে। তখন তাকে Release করেন নি উত্তর ২৪ পরগণার জেলাশাসক। মুর্শিদাবাদ জেলায় ভগবানগোলার বিডিও থাকাকালীন প্রয়াত বিধায়ক ইদ্রিশ আলীকে তাঁর চেয়ারে বসে তৃণমূলের দলীয় বৈঠক করার সিদ্ধান্তে বিতর্ক বেঁধেছিল রাজ্য জুড়ে। বুধবারের নির্দেশে ভরতপুর ২-এর বিডিও হিসেবে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে অনির্বাণ সেনগুপ্তকে পাঠানো হয়েছে। এতদিন ওই পদ ফাঁকাই ছিল।