বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ বহু দূরে Yusuf Pathan-এর মুলুক। গুজরাটের বাসিন্দা ভারতীয় ক্রিকেটার বাংলায় এসেছেন রাজনীতির ময়দানে খেলতে। হেভিওয়েট বহরমপুরে এবার নজর রয়েছে দেশের। বহরমপুরের একটি বিলাস বহুল হোটেলেই আপাতত নিরাপত্তার বলয়ে তাঁকে রেখেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানেই দলীয় নেতাদের সঙ্গে আজ গোরাবাজার তো কাল বেলডাঙা ছুটছেন। রুটিনে বাঁধা হলেও পরিবর্তনের রুটিনে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রতি মূহুর্ত। নেতাদের কথা শুনছেন বাধ্য ছেলের মতোই। মুখে হাসি রেখে মানিয়ে নিচ্ছেন ‘নিজের ঘর’কে।

সেই হোটেলের ঘর থেকেই স্ত্রীকে বিয়ের তারিখে লিখলেন মন কেমন করা কথা। ভার্চুয়ালী শুভেচ্ছা জানালেন ইউসুফ। লিখলেন “তোমার সঙ্গে কাটানো জীবনই আমার পছন্দের। প্রিয় ভালবাসা, আরও অনেক অনেক বছর আমরা একসঙ্গে কাটাব। বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা নিও।”
বছর খানেক আগে ইংরেজির ২৭ মার্চ তিনি রাজনীতির ময়দান থেকে অনেক দূরে থাকলেও খেলার মাঠের কাছাকাছি ছিলেন। বিবাহ বার্ষিকীর আগের দিন WPL এর ফাইনাল খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। আর বিয়ের তারিখে নিজের ফেসবুক পেজে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন “আমার সকাল, সাঁঝের প্রতিটি মুহূর্তই তুমি। এটা কোনও কাব্য নয়, এটা তোমার প্রতি আমার ভালবাসা। শুভ বিবাহ বার্ষিকী।”( Na koi pal subah hai na koi lamha shaam hai, Har pal har lamha aapke naam hai, ise sirf shayari na samajh lena, ye hamari taraf se aapko mere pyaar ka paigaam hai. Shaadi ki saalgirah mubarak)।
আগামী বছর লোকসভায় বহরমপুরবাসীর কথা তুলে ধরতে সংসদে থাকবেন কি না তা সময়ই বলবে। তবে তাঁর ‘নিজের ঘর’ বহরমপুরে যদি তিনি বাসিন্দা হন তাহলে তাঁকে সস্ত্রীক দেখার অপেক্ষায় থাকবে বহরমপুরবাসী। চলতি বছর তাঁদের ভার্চুয়ালী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর দলের সহকর্মীরা। তিনি বলেছেন, “আর দেরি নয়। নির্বাচনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বার এখনই সময়।”
সংবাদ হাজারদুয়ারির পক্ষ থেকে ইউসুফ পাঠানের বিবাহবার্ষিকীতে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন