সংবাদপ্রতিনিধি, লালগোলাঃ আনছাট গরমে নাজেহাল মানুষজন। তবু রাজনীতির সভামঞ্চে সেই মানুষজনের ভিড় উপচে পড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে আদিত্যনাথ যোগী, অধীর চৌধুরী থেকে মহম্মদ সেলিম সকলের জনসভাতেই। আর সেই ভিড়েও বক্তব্যে বৈচিত্র্য এনে স্বতন্ত্র অধীর-সেলিম।
যোগীকে বাদ দিলে এঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ৭০এর দোরগোড়ায়। এই অস্বস্তির গরমে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার একদিকে যেমন অস্ত্র অন্যদিকে তেমনি জরুরীও। এরমধ্যেই ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন অধীর চৌধুরী। সোমবার রাতের পর মঙ্গলবার সকালেও তিনি বিশ্রামে ছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। কিন্তু ওইদিন বিকেলেই ছুটে গিয়েছেন লালগোলায়, দলীয় প্রার্থী মোর্তজা হোসেন ওরফে বকুলের হয়ে ভোট চাইতে নির্বাচনী জনসভায়।
একইভাবে ছুটছেন মহম্মদ সেলিমও। নিজের সাতটি বিধানসভার অলিগলি চরকিপাক দিচ্ছেন প্রত্যেকদিন। দুই নেতার সভাতেই ভিড় ভাঙছে রোদ গরম উপেক্ষা করেই। লালগোলায় মঙ্গলবার বিকেলের সভাও বাদ ছিল না। সেখানে হাজির ছিলেন অধীর-সেলিম দুজনেই। তাঁদের কথা শুনতে ধুলাউড়ি মাঠে হাজির মানুষজনকে নিরাশ করেন নি দু’জনের কেউই। .
আরও পড়ুনঃ টিনে পেরেক ঠুকে পার্টি অফিস পুনর্নিমাণ করলেন সেলিম
নিজের বক্তব্যের শুরুতেই অধীর ছড়া কেটে বলেন ” আমের গাছে এসেছে মুকুল/ এবার ভোটে জিতছে বকুল।” আরও বললেন, “ধুলাউড়ির মাঠে মানুষজনের উপস্থিতি বলছে বকুলের কপাল চকচক করছে।” আবার বকুলকে মজার ছলে বললেন “বকুল হাটের কচি বকন ( পুরুষ বাছুর)। বকুল সারাবছর আপনাদের সঙ্গে থাকবে।”
নিজের বক্তব্য জনসভায় উপস্থিত মানুষজনকে জানাতে গিয়ে সেলিম এদিন আঁখের রস বেড় করার মেশিনের প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, “ওই মেশিনের যে দুটি লোহার চাকার মধ্যে আঁখ থাকে অধীর সেলিম সেই দুটি চাকা। চুরি করা লুটের মালে যাদের অনেক রস হয়েছে সেই আঁখগুলোকে ওই দুটো লোহার চাকার মধ্যে ঢোকাতে হবে। আর পাশের চাকাটাকে আপনাদের ঘোরাতে হবে আগামী কয়েকদিন। দেখবেন সব রস বেড়িয়ে আসবে। যাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। তাহলে গরীব মানুষ হক পাবে। লুটের টাকা ফেরত পাবে। বাংলা আবার অধিকার পাবে। তাহলে দেশের রাস্তা আমরা ঠিক করব।”