সংবাদ প্রতিনিধি, বহরমপুরঃ বহরমপুর গোরাবাজার নিমতলা মোড়ে কংগ্রেসের পথ সভা মঞ্চে মঙ্গলবার হাজির ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক অনল আবেদিন। দীর্ঘদিন আনন্দবাজার পত্রিকায় সুনামের সঙ্গে সাংবাদিকতার কাজ করেছেন তিনি। তাঁর কর্মজীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন ওই পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার। তার আগে বীক্ষণ পত্রিকা সহ একাধিক দৈনিক সংবাদপত্রে অনল আবেদিন সাংবাদিকতার কাজ করেছেন।
বর্তমান দেশের অবস্থায় কেন তিনি কংগ্রেসের মঞ্চে তার জবাবও দিয়েছেন অনল। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে এই নিয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করেছেন। লিখেছেন, “আমি একজন ভারতীয় নাগরিক। তাই ভারতের সংবিধান রক্ষার তাগিদে মোহন ভাগবতের শিষ্য মোদী ও মোহন ভাগবতের দেবীদুর্গা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে জনমত গঠনে আত্মনিয়োগ করা যদি কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষাবলম্বন করা হয় তবে বরাবর বিজেপি বিরোধী দল রাহুল গাঁধির কংগ্রেসের পক্ষেই থাকব।”
ভোট প্রচার মঞ্চে যাওয়ার আগে তিনি তাঁর ফেসবুকে পেজে সরাসরি অধীর চৌধুরীর পক্ষে থাকার কথা জানিয়ে গিয়েছেন। লিখেছেন, ” আমাদের প্রিয় বহরমপুর শহরকে বাঁচাতে, এই প্রাচীন শহরের শান্তি রক্ষার তাগিদে, মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করার জরুরি প্রয়োজনে, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝতে, ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট শক্তি বিজেপিকে পরাস্ত করতে আমিও আজ থেকে সরাসরি অধীরদার পক্ষে ভোট প্রচারের মাঠে নামলাম। সচেতন নাগরিক হিসাবে এটা আমার কর্তব্য। দায়।’নো ভোট টু বিজেপি, ভোট ফর অধীর চৌধুরী। সেই কথাই রেখেছেন এই প্রবীণ সাংবাদিক। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ও তাঁর পরিবার তৃণমূলের পক্ষেই বহরমপুরে ভোট দিয়েছিলেন।
এদিন এই প্রবীণ সাংবাদিককে তাঁর ভোট প্রচার মঞ্চে দেখতে পেয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেন নি অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন,”আমি খুব আনন্দিত অনল দাকে আমাদের এই মঞ্চে পেয়ে।” এদিন তিনি এই সাংবাদিকের নিরপেক্ষতার প্রশংসাও করেন।
আর এক প্রখ্যাত প্রবীণ সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায় ও অধীর চৌধুরীর শুভাকাঙ্খী ছিলেন। বহরমপুর টাউন ক্লাবের উদ্বোধনেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বহরমপুরের প্রবীণ সাংসদ। যদিও অনল আবেদিনের মতো তাঁকে কখনও রাজনীতির মঞ্চে সরাসরি দেখা যায়নি বলেই মত সাংবাদিক কুলের।