সংবাদ হাজারদুয়ারিওয়েবডেস্কঃ নজির গড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনাধিকারিক নন, চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে মন্ত্রীকেই সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সুব্রত বক্সি ফোন করেন কারামন্ত্রীকে। সেই কথোপকথন শেষে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তও জানিয়ে দিলেন কাঁথির অখিল গিরি। এমনিতেই কাঁথি মমতার কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু। সেখানে নির্বাচনী লড়াই যত না ফ্যাক্টর তার থেকে বড় ফ্যাক্টর, দলের দিকে দুর্নীতি হোক বা কুকীর্তিতে আঙ্গুল ওঠা। আর তা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর দল বদলের পর থেকেই।
তাজপুরে বেআইনি উচ্ছেদ সরানোর জন্য মহিলা বনাধিকারিককে খোলা আকাশের নিচে কু-কথা ও হুমকি দিয়েছিলেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। যা নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় প্রতি ক্ষণে শাসকদল তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়ছিল না গেরুয়া শিবির। আর তা আঁচ করেই কড়া ভাষায় অখিলের সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সভার সাংসদ কুনাল ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বনাধিকারিক মণীষা সাউয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বনমন্ত্রী বিরবাহা হাসদাঁও। ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পদত্যাগ করেও অখিল কিন্তু নিজের মন্তব্যে অনড়। বললেন, ” দলের নির্দেশ মেনে কাল বিধানসভায় গিয়ে পদত্যাগ করব। দল কঠোর হলেও অসহায় বঞ্চিত মানুষগুলোর পাশে থাকব।” আর এই কান্ডে যবনিকা পতনের পাশাপাশি বিধানসভায় বিজেপি’র হাতের তাস কেড়ে নিয়ে মমতা রাজনৈতীক দূরদর্শিতারও পরিচয় দিলেন।