সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন ভারত। সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর সংখ্যাগুরুদের অত্যাচার নজরে রেখেছে দিল্লি। একাত্তরের ঢঙে ২০২৪এও সে দেশ ছেড়ে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ ভিড় জমাচ্ছে বাংলা সহ দেশের একাধিক সীমানা প্রাচীরে। সেই সব অনুপ্রবেশ আটকে দিচ্ছে বিজেপি শাসিত ভারত। অথচ স্রেফ বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বিজেপি শাসিত ওড়িশায় ঘাড়ধাক্কা খাচ্ছে পশ্চিমবাংলার শ্রমিকরা। কেন?
অভিযোগ, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড দেখানোর পরেও তাদের বাংলাদেশি তকমা দিচ্ছেন ওড়িয়ারা। সঙ্গে উঠছে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগও। হোটেলে হোটেলে কাজ হারানোর রব উঠেছে। তাদের থেকেও বেশি আতঙ্কিত ওই রাজ্যে কর্মরত বাঙালী ফেরিওয়ালারা। যখন তখন, যেখানে সেখানে তাদের পরিবার নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। সত্যি জানানোর পরেও হেনস্থার হাত থেকে রেহাল মিলছে না বাংলার শ্রমিকদের। সূত্রের দাবি, ওড়িশায় কর্মরত ওই শ্রমিকদের অনেকেই মুর্শিদাবাদ ও মালদহের বাসিন্দা।
তবে এই ঘটনা নতুন নয়। চলতি বছর মার্চ মাসে নবীন পট্টনায়ক জমানার শেষ ধাপে একইরকম ঘটনা ঘটেছিল ভদ্রকে। সেবার ‘কাগজ দেখাও’ ধুয়ো তুলে বাংলার পরিযায়ীদের ওপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছিল ওড়িয়ার বাসিন্দারা। যাদের একটা বড় অংশ বিজেপি’র সঙ্গে যুক্ত। তখন তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন সক্রিয় হয়েছিলেন। এবারের ঘটনাও ঘটেছে ভদ্রকে এবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোহন চরণ মাঝির সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ ঈষা খান চৌধুরীও।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “নিজের রাজ্যে কাজের সুরাহা না করতে পেরে পেটের টানে ওড়িশায় গিয়েছে। অথচ সেখানে গিয়ে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে তাদের ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাচ্ছে রাস্তার গুন্ডারা।” মালদহের কালিয়াচক, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা, শমসেরগঞ্জ এলাকার প্রায় সাতশো ফেরিওয়ালা এই ঘটনার সম্মুখীন। সে কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দ্রুত বিষয়টি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ঈশা। চরণ মাঝি অবশ্য বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বেহাল দশা ভাগীরথী এক্সপ্রেসের, উদাসীন পূর্ব রেল