নিঁখোজ নার্সের নিথর দেহ উদ্ধার

Social Share

বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ দিন কয়েক ধরে বহরমপুরে নিঁখোজ ছিলেন একজন নার্স। বহরমপুর স্টেশন সংলগ্ন শিল্পতালুকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে কর্মরত ছিলেন তিনি। আরজিকর কান্ডের আবহে তাঁর অপহরণ হওয়ার দাবিও বাসা বাঁধে নিকটজনের মনে। পুলিশও সেই দাবিকে পুরোপুরি নস্যাৎ করেনি। আর তাই অত্যন্ত সতর্কভাবে বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছিল বহরমপুর থানা। অবশেষে সেই নিখোঁজ নার্সের পচাগলা দেহ উদ্ধার হল ভাগীরথীতে, তাঁর বাড়ির কাছেই। বহরমপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম সুচিত্রা মন্ডল ( ২৩)।

শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কোদলা ঘাটে একটি মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখেন এলাকাবাসী। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বহরমপুর থানার পুলিশ এসে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে। বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হলে তাঁরা এসে মৃতদেহ শনাক্ত করেন।

সুচিত্রার বাড়ি বহরমপুর থানার কোদলা গ্রামে। কর্মসূত্রে বহরমপুরের একটি হস্টেলে থাকতেন। বুধবার রাত আটটার সময় ডিউটি শেষ করে তাঁর হস্টেলে ফিরবার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে তিনি সেদিন ফেরেননি। শুক্রবার বাড়ির লোকজনকে নিঁখোজ সংবাদ দেয় হস্টেল কতৃপক্ষ, দাবি মৃতার মায়ের। মেয়ের খোঁজ না পাওয়ায় অপহরণের দাবিও করেন মৃতের পরিবার। যদিও বহরমপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে ভাগীরথী সেতুতে একজোড়া জুতো দেখতে পায়। রাতে ওই এলাকায় গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার শব্দও শুনতে পান ভাগীরথী ঘেঁষা গান্ধী কলোনির বাসিন্দারা। জুতো ও এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সুচিত্রা গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রথম থেকেই অনুমান করে। যদিও থানায় পরিবারের দাবি মেনে অপহরণের মামলা রুজু হয়।

পুলিশ রাত দেড়টা নাগাদ কোদলা থেকে মৃতদেহ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে নিয়মমাফিক চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করার পর রাতেই হাসপাতালের মর্গে দেহ রাখা হয়। রবিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের লোকজন সুচিত্রা’র আত্মহত্যা করবার মতো কারণ খুঁজে না পেলেও ঘটনার পেছনের কারণ জানতে সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ দেবতা গনেশের কাছে শাসক দলের দুই নেতার দুই আর্জি, হাসির রোল সমাজমাধ্যমে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights