বহরমপুরে পুকুর ফেরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শহর বহরমপুরে পুকুর বুজিয়ে ফেলার অভিযোগের অন্ত নেই। আজ এ পাড়ায় তো কাল অন্য পাড়ায়। জলাভূমি ভরাট নিয়ে দিস্তা দিস্তা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানোর পরেও তা ভরাট হয়ে যায় আড়ালে আবডালে। যেখানে সম্ভব হয় সেখানে অবশ্য আটকে রাখা যায়। এমনই একটি অভিযোগ উঠেছিল প্রায় এক যুগ আগে। বহরমপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় (প্লট-১০৬৪, মৌজা-গড় বহরমপুর, জেএল নাম্বার-৯১) বিনা অনুমতিতে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছিল পুকুর।

আর তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। আদালতের নির্দেশে চলতি বছর জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ পুরসভা, ব্লক ভূমি সংস্কার দফতর ও অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী সকলের উপস্থিতিতে সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া সেই অনুসন্ধানকারী দলের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় দেড় বিঘা জমির ওই পুকুর মাটি ফেলে বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। তাদের দাবি ইতিমধ্যে পুকুরটির আশি শতাংশ বুজিয়ে ফেলেছেন দুষ্কৃতিরা।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলাটি ওঠে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে মাটি ফেলে পুকুরটিকে ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবি অরিন্দম দাস। একইসঙ্গে তিনি জানান, “পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই বুজিয়ে ফেলা জলাভূমি ফের পুকুরে পরিণত করতে, পুরসভা সহ সব বিভাগ কাজ করলে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। আর এই কাজ করতে যে টাকা খরচা হবে, তা তারা আদায় করতে পারবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের থেকেই।”

পরিবেশ কর্মী সুবর্ণা নাথ এই রায়কে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ” হাইকোর্টের এই রায় পরিবেশকর্মীদের উৎসাহিত করবে। জলাভূমি যারা বেআইনিভাবে ভরাট করছে তাদেরকেও এই রায় সতর্ক করবে।” তবে তিনি অভিযোগের সুরে বলেন ” এই রায় যতক্ষণ না কার্যকরী হচ্ছে ততক্ষণ আমরা নিশ্চিন্ত নই। অতীতে জলাভূমি রক্ষা কমিটির করা একাধিক জলাশয় ভরাটের মামলায় হাইকোর্ট বেআইনিভাবে পুকুর ভরাট হচ্ছে কি না তা দেখতে জেলা শাসককে নির্দেশ দিয়েছিল। জেলাশাসক প্রথম দিকে উদ্যোগী হলেও পরে তার কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ আমরা নিতে দেখিনি। বহরমপুরের কোনও পুকুর পুনরুদ্ধার তো দূরের কথা পুকুর, খাল বিল কোথাও না কোথাও দৈনিক ভরাট হচ্ছেই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights