পঞ্চাননতলা রেলসেতু নিয়ে আশার বাণী বিধায়কের

Social Share
ডিআরএম ও বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অধীর চৌধুরীর পর সুব্রত মৈত্র। অধীরের রেল এখন সুব্রতর জিম্মায়। এক আশা যায়, অন্য আশা জাগে। বহরমপুরের ক্ষেত্রেও তার বদল হয় না। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হয়েছে চুয়াপুর রেলসেতু। কাজ শুরু হয়েও সেই একইভাবে সীমানা চেনাতে পঞ্চাননতলায় দাঁড়িয়ে আছে একলা স্তম্ভ। ফের জমি জটের অভিযোগ তুলেছেন রেল কর্তারা। পথ চলতি মানুষ রেলগেট টপকায় রাস্তা পারাপার করতে। বারণ করলে পাল্টা জানতে চান “আর কবে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হবে বলুন।?” কেউ বলেন, ” আমার তো তিন কাল গিয়ে এক কালে ঠেকেছে। শুনেই যাচ্ছি হবে হবে। কিন্তু কবে সে উত্তর কেউ দেয় না।”

তাদের আশার আলো শুনিয়েছেন বহরমপুরের বিধায়ক। সোমবার পূর্ব রেলের ডিআরএমের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বিষয়টি নিয়ে তার ঊর্ধতন কতৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে অনুরোধ করেছেন। আর সেই অনুরোধ গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন দীপক নিগম। সুব্রত বলেন, ” পঞ্চানন তলা রেলসেতুর কাজ (Gate – 132)জমি জট সংক্রান্ত সমস্যার জন্য থমকে রয়েছে। জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও জবর দখল জমি দখল মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ অসহযোগিতার জন্য ওই সেতুর কাজ শুরু করা যাচ্ছে না, তথাপি বিষয়টি আরো গুরুত্ব সহকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার জন্য অনুরোধ করলাম। এবার মিটবে বলে আশা করি। তবে যতক্ষণ না আঁচাচ্ছে ততক্ষণ এই তৃণমূল সরকারকে বিশ্বাস নেই।”

সরকারি কাজের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে নতুন করে আর কেউ অভিযোগ করেন না। গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। বহরমপুরের চুয়াপুর রেলসেতু তৈরির ইতিহাস থেকেও মানুষ শিক্ষা নিয়েছে “সরকার চাইলে হয়, না চাইলে হয় না।” আর তাই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে স্বস্তি ফিরেছে বহরমপুর রেলস্টেশনের এপার ওপারের মানুষের। নশিপুর রেল সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে গড়িয়েছে রেলের চাকা। এখনও গড়ায়নি কোনও যাত্রীবাহি ট্রেন। যদিও কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি দিতে ক্লান্তি নেই। অথচ ওই গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতু পুরোপুরি সচল হলে বদলে যাবে মুর্শিদাবাদের বাণিজ্য। দেশের নির্বাচনের মুখে যত জোরে ঢাক বেজেছিল সেই ঢাকের আওয়াজ মিলিয়ে যেতে বসেছে। বিরোধীরা ফের নশিপুর অস্ত্রে শান দিতে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন ঘরে বারান্দায়। সামনেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সেই একইপথে এগোচ্ছে পঞ্চাননতলা রেলসেতুও।

তবে শুধু পঞ্চাননতলা রেলসেতু নয়। এদিন পূর্বরেলের ডিআরএমের সঙ্গে দেখা করে বহরমপুরের বিধায়ক ফের কয়েকটি জরুরি আন্ডারপাসের দাবি করেছেন বলে জানা যায়। কাশিমবাজার ঝাউখোলা মোড় ( গেট – ১৩৪), ব্যাসপুর (গেট ১৩৫) এবং ভাকুড়িতে (গেট ১২৯ ) একটি করে আন্ডারপাস হলে যানজট কাটবে বলে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। সেই কাজগুলি দ্রুত শুরু হবে বলে রেলকর্তা তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন বলে এদিন দাবি করেছেন বিধায়ক। কাশিমবাজার শর্মা পাড়া থেকে মধুপুরের মধ্যে আরও একটি আন্ডারপাসের দাবিও ডিআরএমের কাছে রেখেছেন বিধায়ক। তবে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাইছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলেরও এক নেতা। তিনি বলেন, ” প্রতিশ্রুতি সব দলই দেয়। রাখতে পারে ক’জন?।” বিধায়ক অবশ্য বলেন, ” এই অপদার্থ তৃণমূল সরকার আমাকে কোনো কাজ করতে দেয় না। কেন্দ্রীয় সরকার রেলের। আমার দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে বহরমপুরবাসীর জন্য যতটা করতে পারি তারই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights