
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় রাত্রিবাসকালে মুর্শিদাবাদে চলল গুলি। হরিহরপাড়ার মালোপাড়ায় দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক তৃণমূলকর্মী। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছে।
মুর্শিদাবাদে হিংসায় ক্ষতবিক্ষত শমসেরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে দেখা করতে ও প্রশাসনিক বৈঠক করতে মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এসেছেন সোমবার দুপুরে। তার আগের দিন রাত্রে বহরমপুরের মধুপুরের একটি ক্লাবে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে চলে গুলি। সেই ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের একজনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র।
মঙ্গলবার সুতিতে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে বহরমপুর সার্কিট হাউজে রাত্রিবাস করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় হরিহরপাড়ার মালোপাড়ায় মৌলা বক্স মন্ডল নামে ৫৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে লক্ষ্য করে তাঁর বাড়ির কাছেই এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। মৌলা বক্সের বাম হাতে গুলি লাগে বলে পুলিশ জানায়। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মৌলা বক্স তৃণমূল কর্মী।
হরিহরপাড়ার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। রাজেশ শেখ ও ববি শেখ নামে দুই আততায়ীকে ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে দু’রাউন্ড গুলি সহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সূত্রের দাবি, ধৃতরা দুই ভাই। পরিবারের পুরনো ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন লালবাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ) রসপ্রীত সিং। আজ বুধবার ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশের দাবি। স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সামসুজ্জোহা বিশ্বাস বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা পারিবারিক ঝামেলা। তার থেকে বদলা নিতে গিয়ে গুলি চালিয়ে একপক্ষ অন্য পক্ষকে।” তবে দুটি ঘটনাতেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা।