মহকুমা পেল মুর্শিদাবাদ, প্রশ্ন জেলা ভাগ হবে কবে ?

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আইনশৃঙ্খলা আরও আঁটোসাঁটো করতে মুর্শিদাবাদে আরও একটি মহকুমার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার হিংসা বিধ্বস্ত সুতিতে প্রশাসনিক বৈঠকেই নতুন মহকুমা হওয়ার কথা বলেছেন তিনি। বলেছেন ফরাক্কা, শমসেরগঞ্জ আর সুতি তিনটি বিধানসভা নিয়ে তৈরি হবে একটি মহকুমা। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, নতুন মহকুমার নাম হবে ফরাক্কা।

এতদিন এই তিনটি বিধানসভা তো বটেই জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘিরও ছিল একজন মহকুমা শাসক ও একজন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। ফরাক্কা থেকে জঙ্গিপুরের দূরত্ব প্রায় সত্তর কিলোমিটার। ফলে প্রশাসনিক কাজে যেমন ফরাক্কা থেকে সাধারণ মানুষকে আসতে গেলে অর্থব্যয়, শারিরীক পরিশ্রম, স্বল্প কাজে দিন নষ্ট হয় তেমনি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে কোথাও একজন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কিংবা মহকুমাশাসককের পক্ষে দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হওয়া দুষ্কর।

শমসেরগঞ্জের হিংসার ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে তাই দেখিয়ে দিয়েছে সপ্তাহ কয়েক আগে। আর তাই পুলিশ ও সাধারণ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী নতুন এই মহকুমার কথা ঘোষণা করেছেন সরকারি মঞ্চে। একমাস থেকে দেড় মাসের মধ্যে মুর্শিদাবাদে আরও একটি মহকুমা তৈরি হবে তাও বলেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী তথা রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক আখরুজ্জামান বলেন, ” আরও একটি মহকুমা তৈরি হলে মানুষ সরকারি পরিষেবা নাগালে পাবেন। সময় কমবে শ্রমও কমবে।” কান্দির বিধায়ক তথা তৃণমূলের বহরমপুর সংগঠনের সভাপতি অপূর্ব সরকারও বলেন ” অর্থ ব্যয় কমবে, এলাকায় শান্তি ও শৃঙ্খলার প্রশ্নে আরও বেশি সুরক্ষিত হবে। মানুষ সরকারি পরিষেবা পাবেন আগের থেকে অনেক কম সময়ে।”

জনবিন্যাসের কথা তুলে ২০২২ সালের ১ অগস্ট মুর্শিদাবাদ ভেঙে তিনটি জেলা হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপর মুর্শিদাবাদে দুটি পুলিশ জেলা তৈরি হলেও জেলা ভাগ আর হয়নি। ২০১১ সালের পর জনগণনা না হলেও ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পৌঁছে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি জেলার জনসংখ্যা প্রায় নব্বই লক্ষের কাছাকাছি। জেলা ভাগ হলে সবস্তরে আগের থেকে আরও ভাল পরিষেবা যেমন দেওয়া সম্ভব তেমনি আইন শৃঙ্খলাও শক্ত আঁটুনির মধ্যে থাকবে। তবে এখনও জেলা তৈরির পরিকাঠামো নেই।

আখরুজ্জামান বললেন, ” মুখ্যমন্ত্রীর মাথাতে সব আছে। সব হবে। রাজ্যে এখনও আইএএস, আইপিএস কম। সেইসব দিকগুলো মিটে গেলেই মুখ্যমন্ত্রী জেলা ভাগ করে দেবেন।” অপূর্ব বলেন, ” বাংলার মানুষের বঞ্চনা মিটলে জেলা ভাগও সময়ের অপেক্ষা।” তবে কংগ্রেস নেতা হাসানুজ্জামান বাপ্পা বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী নাকের বদলে নুড়ুন দিয়ে গেলেন। উনি জেলা ভাগের ভাঁওতা দিয়ে উত্তর মুর্শিদাবাদের মানুষের সঙ্গে তঞ্চকতা করেছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights