সংবাদ প্রতিনিধি, মুর্শিদাবাদঃ পুরসভা ভবন থেকে মেরেকেটে কত হবে? ১৫০ থেকে দু’শো মিটার দূরে পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড। ওই ওয়ার্ডের সাহেবনগর মৌজায় চলছিল একটি পুকুর বোজানোর কাজ। পুকুর না বলে ডোবা বলাই ভাল। শুধু ভরাট করাই নয়, অভিযোগ ওই জলাশয় বদলে খাতায়-কলমে হয়েছে ভিটে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের পর প্রশাসনিক বৈঠকে এই ব্যাপরে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছেন। সে কথা কী তবে মুর্শিদাবাদ শহরে পৌঁছায়নি?
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতি ট্রাক্টর করে মাটি, রাবিস নিয়ে এসে অর্ধেকের বেশি অংশ ভরাট করেছে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় বাসিন্দা তথা জেলা কংগ্রেস নেতা অর্ণব রায়ের মারাত্মক অভিযোগ, সরকারি ওয়েবসাইটে ওই এলাকার কিছুটা অংশ ভিটে আর কিছুটা অংশ ডোবা হয়ে আছে। তিনি বলেন, “এই ডোবায় একসময় মাছের চাষ হত। পরে এলাকার নোংরা জল এই ডোবায় পড়ত। কিন্তু এলাকাবাসীদের অন্ধকারে রেখে কীভাবে ডোবা জমি ভিটে হয়ে গেল? পুরসভা কিছুই জানে না তা হতে পারে।” উত্তর পেতে গণ সাক্ষর নিয়ে মহকুমাশাসক ও পুরপ্রধানের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অর্ণবের দাবি, “শাসকদলের মদতে জমি মাফিয়ারা এই কাজ করেছে।”
পুরপ্রধান ইন্দ্রজিৎ ধর অবশ্য তা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “আমরা জলাশয় ভরাটের বিরোধী। অভিযোগ পেয়েছি। কীভাবে একটি ডোবা জমি ভিটে জমিতে পরিণত হয়ে গেল পুরসভার অগোচরে সেটাও জানতে হবে। যারা এই কাজ করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অর্ণব অবশ্য বলেন, ” পুরপ্রধান কী করবেন তা জানি না। যতদিন না এই ডোবাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। মাফিয়া, শাসকদলের নেতা সবার চোখ রাঙানি সহ্য করেও আমরা শহর মুর্শিদাবাদের জলাশয় জমি লুটেরাদের হাতে ছাড়ব না।”