সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এ কোন সকাল? রাতের চেয়েও অন্ধকার। বাংলাদেশের দেওয়ালে কান না পাতলেও মুহুর্মুহু শোনা যাচ্ছে “গো-হাসিনা-গো” শ্লোগান। কোটা বিরোধী আন্দোলন দিয়ে যে ‘বিপ্লব’ শুরু হয়েছে আজ তা হাসিনা হঠাও আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। স্পষ্ট হয়েছে বাংলাদেশে রাশ আলগা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যার। আজ আন্দোলনকারীদের “লং মার্চ টু ঢাকা” ঘিরে চলছে রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর। নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে মিলিটারি।
তবুও জ্বলছে শহর, পুড়ছে বাড়ি, অফিস, কাছাড়ি। নতুন করে অবরুদ্ধ বাংলাদেশ। পড়ুয়াদের আন্দোলনে নাক গলিয়েছে নিষিদ্ধ জামাত, উসকানি দিচ্ছে বিএনপি। এমনটাই দাবি হাসিনার দল আওয়ামি লিগের। দেশ জুড়ে শাসক দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে যত্রতত্র খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যাচ্ছে। কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট চালিয়েও ‘বেপরোয়া’ সেই আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ আনতে ব্যর্থ পুলিশ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে একশো ছাড়িয়েছে।
পড়ুয়াদের রোষের কাছে বাদ যাচ্ছে না পুলিশও। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ১৩ জন পুলিশকে কুপিয়ে খুন করেছে আন্দোলনকারীরা। অনির্দিষ্টকাল কার্ফু জারি করেছে সে দেশের সরকার। হিংসা ছড়িয়ে না দিতে ঢাকাতেও বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা এক পড়ুয়া, আমিনুল ইসলাম হৃদয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছে, ” আমাদের দেশের এই হত্যাকান্ডের দায় আপনাদের। আপনারা ব্যর্থ। আপনারা কোটা বিরোধীদের দাবি মেনে সঠিক বিচার করলে এতগুলো নিরীহ মানুষের প্রাণ যেত না।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের আজ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে,।” আর এক পড়ুয়া পুলকের দাবি, “আমাদের দাবি এক, দফা এক আর তা হল শেখ হাসিনার পদত্যাগ।”
এদকে বাংলাদেশ যেতে নিষেধ করেছে ভারত সরকার। বাংলাদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ঘর থেকে বেরতেও বারণ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুনঃ অখিলে কঠোর দল, হুমায়ুনে নীরব কেন?