বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ ভগবানগোলায় তৃণমূলে সংকট কী কাটবে? দলেরই একাংশের দাবি, গভীর অসুখ। মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মুর্শিদাবাদ লোকসভার অন্তর্গত মুর্শিদাবাদ শহর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে দলের সর্বস্তরের কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনী কর্মীসভা করা হয়। সেখানে মূল বক্তা ছিলেন মুর্শিদাবাদের বিদায়ি সাংসদ আবু তাহের খান ও দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক শাওনী সিংহ রায়।
একসময় দলের জেলা কমিটি গঠন করা নিয়ে শাওনী ও তাহেরের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন শাওনী জেলা সভাপতির আসনে আর তাহের দলের চেয়ারম্যান। বেশিদিনের কথা নয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরের ঘটনা। তারপরের বছর শেষবেলায় পুর্নাঙ্গ জেলা কমিটিতে কার নাম থাকবে আর কার নাম বাদ যাবে তাই নিয়ে নিরন্তর কাটা ছেঁড়ার পর যেদিন মুর্শিদাবাদ জেলা কার্যালয়ে শাওনি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন, সেই তালিকায় চেয়ারম্যানের অনুমতি নেই বলে পাশের ঘরে উঠে গিয়েছিলেন তাহের। ওই ঘটনার রেশ এতদূর পৌঁছেছিল যে ওই বছর নভেম্বরে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শাওনীকে। অসুস্থতার আবডালে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আবু তাহের খানকেও।
মঙ্গলবার সেই তাহের মুর্শিদাবাদ শহরে দাঁড়িয়ে যখন দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন সেই সময় ভগবানগোলায় শাওনি ঘনিষ্ঠ ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে গর্জন করছেন তৃণমূলেরই অন্য অংশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন সাংসদ আবু তাহের। সভাপতিদের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী সাংসদকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন ব্লক সভাপতিরা ভোটের দায়িত্বে থাকলে আমরা নির্বাচন কাজে অংশ নেব না। তাহের অবস্থা বুঝে বল ঠেলেছেন জেলা সভাপতির কোর্টে।
৭ মে মুর্শিদাবাদে লোকসভা নির্বাচন। ওইদিন বিধানসভা নির্বাচন হবে ভগবানগোলাতেও। একুশের নির্বাচনে এই দলীয় কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেছিলেন সাগির হোসেন। অবস্থা সামাল দিতে ‘বহিরাগত’ ইদ্রিস আলীকে প্রার্থী করে জিতে আসে দল। পরে নির্বাচনের দিন সাগিরের মৃত্যু হয়। মাস খানেক আগে মৃত্যু হয় বিধায়কেের।সেই আসনেই হবে উপনির্বাচন।