তৃণমূলের নবীন নেতাদের কেউ কেউ বললেন ” হিন্দি ভাষার চর্চা চালাচ্ছেন প্রবীণ নেতারা। নচেৎ জল লাগলেও লোক ডাকবার দশা হবে তাঁদের।”
বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ তিনি আসছেন। তাঁর জন্য থাকার জায়গা পাকা হয়েছে। তিনি নির্বাচনে লড়াই করতে আসছেন। তাঁর দল জানিয়েছে আজ বাদ কাল বৃহস্পতিবার বহরমপুরে পথ চলা শুরু হবে তাঁর। তিনি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তিনি তৃণমূলের প্রার্থী। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর বিরোধী দল দু’টি। কংগ্রেস ও বিজেপি। তারমধ্যে রাজনীতির পিচে পুরনো খেলোয়ার অধীর চৌধুরী। অন্যদিকে বিজেপির জনপ্রিয় মুখ চিকিৎসক নির্মল কুমার সাহা। একদিকে জাতপাত অন্যদিকে এলাকায় কিছুই না করা পাঁচ বারের সাংসদ এই দুই ধরনের বলে ইউসুফ নেট প্র্যাক্টিস করেছেন বলে খবর।
প্রতিপক্ষ কেমন? তা এতদিনে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন এই ডানহাতি ব্যাটারকে। অধীরের লোফা বলে কীভাবে ছক্কা মারতে হবে তাও প্র্যাক্টিস করেই আসছেন তিনি। তাঁকে টোটকা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানানো হয়েছে অধীর টেস্ট খেলোয়াড়। ইউসুফের টেস্ট অভিষেকই হয়নি। তৃণমূলের তুলনায় নবীন নেতাদের দাবি, টেস্ট উঠে গেছে ।এখন টি-২০-র যুগ। ইউসুফের আইপিএল রেকর্ড ভাল। কেউ কেউ বলেছেন, “ডাক্তারবাবু শোভন ব্যক্তি। বিজেপি দিয়েই কাজ চালাতে হবে। ব্যক্তি এখানে ব্রাত্য।” তৃণমূলের নবীন নেতাদের কেউ কেউ বললেন ” হিন্দি ভাষার চর্চা চালাচ্ছেন প্রবীণ নেতারা। নচেৎ জল লাগলেও লোক ডাকবার দশা হবে তাঁদের।”
তবে দলেরই একাংশের দাবি, মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে বল যে কখন ঘুরবে পাকা খেলোয়ার অধীরও টের পাননি। ইউসুফকে খেলতে নামার আগে অন্তত একমাস পিচ আগলে পড়ে থাকতে হবে। সংস্কৃতি বুঝতে হবে। অন্য দুই প্রার্থী আবার ঘরের ছেলে বলে প্রচারে জোর পাচ্ছে বেশি। দাবি তৃণমূলেরই ওই অংশের। সেই সময়টুকু কী তিনি দেবেন? প্রশ্নটা ঘুরছে বহরমপুরের অলিগলিতেও। সেই সব গলিতে অন্ধকারেও পড়া যাচ্ছে ফ্লুরোসেন্ট কালিতে লেখা নাম ইউসুফ পাঠান। পাশে জোড়াফুলের চিহ্ন।