বহরমপুর স্টেশন এলাকায় ফের দখলদারি উচ্ছেদ

Social Share
দখলদারি উচ্ছেদ বহরমপুর স্টেশনে। ছবি-বিদ্যুৎ মৈত্র

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় পড়েছে বহরমপুর স্টেশন। যাত্রীদের সুবিধা দিতে প্রায় বছর খানেকের বেশি সময় ধরে কখনও সংস্কার হচ্ছে প্ল্যাটফর্ম তো কখনও বসছে রেলের লাইন, তো কখনও প্রায় ফি হপ্তায় ট্রাফিক ব্লকিংয়ের জন্য বন্ধ থাকছে রেল চলাচলও। রেল কর্তারা বলছেন কাজ হচ্ছে।

সেই কাজেরই অঙ্গ হিসেবে বহরমপুর স্টেশন থেকে বেড়িয়ে তিন মাথার মোড় পর্যন্ত আসার রাস্তা চওড়া করা হবে। ওই রাস্তা দখল করে দুপাশ জুড়ে রয়েছে অস্থায়ী দোকানঘর। কোনওটি রেলের জমিতে তো কোনওটি রাজ্যের ভূমি দফতরের আওতাধীন। সেই রাস্তার একদিকের ছ-সাতটি দোকানের পাকা দেওয়াল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকের নির্দেশে। রাজ্য সরকারের রাস্তা দখল করে যাঁরা বসেছিলেন তাদের সময় বেঁধে আগেই সরে যাওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

সেই মতো ভাঙা হয়েছে দোকানঘরগুলিও। সদর মহকুমাশাসক শুভঙ্কর রায় বলেন, ” ওই এলাকার ছ-সাতটি দোকান ঘর সরকারি জমি দখল করে তৈরি হয়েছিল। রাস্তা চওড়া করার জন্য জেলাশাসকের নির্দেশে তা ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছিল মালিকদের। ওঁরাই ভেঙে ফেলেছেন।”

এর আগেও রাস্তা চওড়া করার জন্য ভেঙে ফেলা হয়েছে অনেক দোকানঘর। ওই এলাকায় রেল লোহার ছোট ছোট পিলার পুঁতে সীমানাও চিহ্নিত করে দিয়েছিল সেই সময়। কিন্তু তবুও কথা শোনেননি রাস্তার দু’দিক দখল করে গজিয়ে ওঠা দোকানের মালিকরা, দাবি রেলের এক আধিকারিকের। তাঁর দাবি, ” এরা শুধু জায়গা দখল করেই খান্ত হয় না, রাস্তা দখল করে দোকানও করে। ফলে ভিড়ের সময় যানজট তৈরি হয়। তাছাড়াও রেল হোক বা রাজ্য, উন্নয়নের স্বার্থে দখলদারিদের উচ্ছেদ তো করবেই।”

কংগ্রেসের হকার্স সংগঠনের নেতা ভাস্কর বাজপেয়ি বলেন, ” যখন সরকারের জায়গায় দোকান করে তখন কিছু বলে না। কিন্তু আধিকারিক বদলে গেলেই ওদের উঠিয়ে দেওয়া হয়। দোকান ভেঙে ফেলা হয়। মানুষগুলোকে বেকার করে দেওয়া হয়। পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করে না। তাহলে যখন বসতে দিচ্ছে তখনই একটা রফা করে নিলে এই ধরনের অসহায়তার মধ্যে পড়তে হয় না পরিবারগুলোকে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights