সংবাদ প্রতিনিধি, মুর্শিদাবাদঃ মঙ্গলবার বিকেলের বুলেটিনে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শক্তি হারিয়ে রেমাল বঙ্গের দক্ষিণ থেকে উত্তরাংশে চলে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদে আগামী দিন পাঁচেক আকাশ মেঘলা থাকবে। আদ্রতার পরিমাণও বেশি থাকবে। আগামী পাঁচদিন তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ২৪ ডিগ্রী থেকে সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রীর মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। হাল্কা বা মাঝারি বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা জেলায় নেই বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার দাপট কমেছে তাপমাত্রার। ২৪ ঘন্টার হিসেবে ওইদিন সকাল সাতটা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে বৃষ্টি হয়েছে ১৪.১ মিমি। বহরমপুরে সর্বোচ্চ ৩৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলায় বৃষ্টিপাত হয়নি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত জেলায় গড়ে বৃষ্টি হয়েছে ৩৭ মিমি। মুর্শিদাবাদ জেলা কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহনলাল কুমার বলেন, ” প্রয়োজনের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। খাল বিল না ভরলেও ফসলের ক্ষেত্রে উপকার হয়েছে এই বৃষ্টিপাত।”
জৈষ্ঠ্য ও আষাঢ় মাস দেশি মাছের প্রজননের উপযুক্ত সময়। কিন্তু কৃষিতে অস্বাভাবিক রকমের কীটনাশক ব্যবহারে ফলে খাল বিল থেকে হারিয়ে গিয়েছে সেই মাছ। একথা জানিয়ে মৎস্য গবেষক সূর্যেন্দু দে বলেন, ” তবু যেটুকু বেঁচে আছে দেশি মাছ এই প্রাকবর্ষার বৃষ্টি তাদের প্রজননের জন্য কাজে লাগবে।”
আরও পড়ুনঃপড়ুয়া বাদ দিয়েই স্কুল খোলার নির্দেশ !
শমসেরগঞ্জ, ফরাক্কার মত ভাঙন দূর্গত এলাকাতেও নেই কোনও ক্ষতির খতিয়ান। এতটাই কম বৃষ্টি হয়েছে যে জলস্তর পর্যন্ত বাড়েনি ভাগীরথী, পদ্মাতে দাবি সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়র ভাস্বর সূর্য মন্ডল।