
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বেলডাঙার পরিযায়ী শ্রমিকরা ওড়িশায় গিয়েছিলেন কাজ করতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁদের জাতি হিংসার মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। কাশ্মীর এবং মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ, সুতির ঘটনার প্রভাবে তাঁদের ওপর চরম হেনস্থা করা হয়েছে বলে তাঁরা কাজ ছেড়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। মাড্ডা, বেনাদহ, ঝুনকা, বেগুনবাড়ি গ্রামে ফিরে আসা শ্রমিকদের শরীরে এখনও স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন। ওড়িশা ফেরত সেইসব শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝিকে চিঠি লিখলেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী।
সংখ্যায় নেহাত কম নয়, বেলডাঙা-১ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার আনুমানিক হাজার খানেক শ্রমিক ফি বছর সম্বলপুরে যান রাজমিস্ত্রি হিসেবে নির্মাণের কাজ করতে। আধার সহ অন্য পরিচয় পত্র থাকলেও তাদের বাংলাদেশি বলে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২০২৪ সালেও এই ঘটনা ঘটেছিল। সেবার নবীন পট্টনায়ককে সরিয়ে বিজেপি’র মোহন চরণ মাজিকে বেছে নিয়েছিলেন ওড়িশাবাসী। সেবারও ওই রাজ্যের বিজেপি সমর্থকরা মুর্শিদাবাদ মানেই বাংলাদেশি, তকমায় শারিরীক ও মানসিকভাবে নিগ্রিহিত করেছিলেন সেবারও।
অধীর তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ” এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, সমাজের সবচেয়ে নিচুতলার কিছু মানুষ মুর্শিদাবাদ থেকে ওড়িশায় কাজ করতে গিয়ে পুলিশের হেনস্থার শিকার হচ্ছে। তারা বাঙালি ভারতীয় মুসলিম, তাদের দেশ ছাড়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করে তিনি আরও লিখেছেন, ” ভিন রাজ্যের ওই বাঙালি মানুষগুলোর জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে আপনাকে অনুরোধ করছি।”
একইভাবে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পাটেল কেউ সেখানকার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় তার জন্য চিঠি লিখেছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ
যদিও বহরমপুরে এসে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ” মুর্শিদাবাদে ধর্মের ভিত্তিতে যে ধরনের ঘটনা তারা ঘটিয়েছে, তাই হয়ত গোটা ভারতে তার প্রভাব পড়েছে। তুমি এই রাজ্যে হিন্দুদের পেটাবে আর অন্য রাজ্যে গিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলবে এটা তো হয় না।”