
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শাসক দলের সংগঠনে রদবদলের হাওয়ায় জুম্মাবারের সন্ধ্যায় ঘোষণা হল বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সংখ্যালঘু সেলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। সেই কমিটির ১২ জন সাধারণ সম্পাদকের তালিকায় প্রথম নাম বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের পুত্র গোলাম নবী আজাদ ওরফে রবীনের। ওই সংগঠন সূত্রেই জানা যায়, দলে গুরুত্ব বাড়াতে ছেলের নাম সংখ্যালঘু সেলের কমিটিতে রাখার সুপারিশ করেছিলেন স্বয়ং হুমায়ুন।
কিন্তু তালিকায় নিজের নাম দেখে বেঁকে বসেছেন রবীন। সেলের সভাপতি আবুল কাউসারকে ফোন করে তালিকা থেকে নিজের নাম সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। আর তা শুনে থ সভাপতি। তাঁকে পাল্টা জানিয়েছেন, কমিটি ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর এখন নাম মুছে ফেলা সম্ভব নয়। রবীন বলেন, ” আমার নাম কেন সংখ্যালঘু কমিটিতে আনা হয়েছে তা জানি না। আমার আপত্তি আছে বলে জানিয়ে দিয়েছি সভাপতিকে।” কাউসার বলেন, ” এ ব্যপারে রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানাতে পারব।”
রবীন তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। আবার বেলডাঙা ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ তিনিই। এই দুই পদ সামলে আরও একটা কমিটিতে আলাদা করে সময় বার করতে পারবেন না বলেই তাঁর মনে হয়েছে। তাই সংখ্যালঘু কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তাঁকে সরানোর অনুরোধ করেছেন তিনি, দাবি রবীনের ঘনিষ্ঠ মহলের।
বিষয়টি তিনি জানেন না দাবি করে হুমায়ুন বলছেন, ” ছেলে আর আমার মধ্যে পার্থক্য আছে। তার নিজস্ব একটা রাজনৈতিক ব্যক্তি স্বত্তা আছে। আমাকে মূল সংগঠনে গুরু দায়িত্বে কোনওদিন কেউ রাখার কথা ভাবেননি। তাও তো কাউসার ভেবেছে। ছেলেকে সংগঠনে গুরুত্ব দিয়েছে। ” তবে সংগঠনের আরও একটি অংশের দাবি, আগামী দিনে যুব সংগঠন ঢেলে সাজানোর কথা নিজেই বলেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে যুব সংগঠনের বহরমপুর জেলা কমিটির সভাপতি বিধায়ক সৌমিক হোসেন ঘনিষ্ঠ আসিফ। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতেই কি নাকের বদলে নরুনে আপত্তি রবীনের! প্রশ্ন সংগঠনের আনাচে কানাচে।