“তাঁর ক্যারিশ্মায় তিনি কী ফের পর্যুদস্ত করবেন বিরোধীদের?” আম পাবলিকের এহেন প্রশ্নে তাঁর দলের লোকজন বলছেন ” বহরমপুর শুধু নয় মুর্শিদাবাদ জেলা জানে তাঁদের বল ভরসার একটাই নাম অধীর চৌধুরী।”
বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ চোদ্দ বছর রাজপাট বদলেছে বঙ্গে। চোদ্দ বছরে অতীত হয়েছে ১৭ তম লোকসভা নির্বাচন। মেরুকরণের রাজনীতিতে ফালাফালা হয়ে গিয়েছে স্বর্ণময়ীর কাশিমবাজার থেকে বহরমপুর। বদলেছে শহরের হালচাল। বদলেছে গাম্ভীর্য। বদলেছে ‘দাপুটে’ কংগ্রেস। বদলেছেন অধীর চৌধুরীও। সেই বদলে যাওয়া শহরে রবিবাসরীয় সকালে হাঁটলেন বহরমপুরের প্রবীণ সাংসদ। উপলক্ষ্য অবশ্যই নির্বাচনী প্রচার।
আরও পড়ুনঃ ইউসুফ-এর প্রচারে গিয়ে গুরুতর আহত জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি
ইতিমধ্যে বহরমপুরের রাস্তায় দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে হেঁটে প্রচার সেরে ফেলেছেন বিধায়ক সুব্রত ওরফে কাঞ্চন মৈত্র। ঘরের ছেলেকে রাজনীতির মাঠে দেখতে কেমন লাগে তা চাক্ষুষ করতে ঝুঁকে পড়েছেন উৎসুক জনতা। ইদানিং টিভি, খবরের কাগজের নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠা অধীরকে তাঁরাই দেখলেন সম্ভ্রমে। ভোটের বাদ্যি বাজার পরমূহুর্তে থেকে অধীরের ভোট সেনাপতি হয়ে ওঠা বহরমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীও এদিন হাঁটলেন অধীরের পাশেপাশে। জোটসঙ্গী সিপিআই(এম) যেমন অধীরের হয়ে দেওয়াল লিখেছে তেমনি এদিন সঙ্গও দিয়েছেন বাম কর্মীরা তাঁর ভোট প্রচারে।

‘গুন্ডা’ অধীর থেকে ‘রবীন হুড’ তকমা পাওয়া বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ আক্ষরিক অর্থেই জাতীয় নেতা। রাজনীতির উঠোনে তারকাও। লোকসভা আর দিল্লির পরে তাঁর দ্বিতীয় অবস্থান বহরমপুর। তিনি সেই বহরমপুর থেকে জিতেছেন গত পাঁচটা লোকসভায়। এবার তাঁর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ছাড়ছে বিরোধী তৃণমূল ও বিজেপি। “তাঁর ক্যারিশ্মায় তিনি কী ফের পর্যুদস্ত করবেন বিরোধীদের?” আম পাবলিকের এহেন প্রশ্নে তাঁর দলের লোকজন বলছেন ” বহরমপুর শুধু নয় মুর্শিদাবাদ জেলা জানে তাঁদের বল ভরসার একটাই নাম অধীর চৌধুরী।”
আরও পড়ুনঃ Loksabha 17: তৃণমূলের থেকে এগিয়ে অধীর
তৃণমূল তারকা মুখে ভর করে নির্বাচনী লড়াইতে নেমেছে। সুদূর গুজরাট থেকে ইউসুফ পাঠানের মত একজন ক্রিকেটারকে তাঁর বিরুদ্ধ মুখ করেছে। উল্টোদিকে গেরুয়া শিবির চিকিৎসক নির্মল সাহাকে অধীর প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে। ইউসুফ বহিরাগত হলেও নির্মল কিন্তু বহরমপুরের ছেলে। ফলে ‘ঘরের ছেলে’ অধীরের সঙ্গে আর এক ‘ঘরের ছেলে’ নির্মলের লড়াই দেখতে যেমন মুখিয়ে আছেন শহরবাসী ঠিক তেমনি Away Match জিততে ইউসুফ কতটা ফাইট করতে পারে তাও পরখ করতে কোমর বাঁধছেন তাঁরা।