বিদ্যুৎ মৈত্র, বহরমপুরঃ তাপপ্রবাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভোটের উত্তাপ। মুর্শিদাবাদের তিন আসনে লক্ষ সবার। কী হয় কী হয় জানতে আগ্রহ আট থেকে আশির। ফেলে আসা পাঁচ বছরে কে কোথায় এগিয়ে তা নিয়েও জল্পনা ছাত্র-যুব সব মহলে। সেই ভিতেই চলতি নির্বাচনের ইমারত গড়ে উঠবে কি না তা নিয়েও থেমে নেই আলোচনা।
এদিকে গত লোকসভায় পাঁচ বছরে সব থেকে বেশি কে লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন সেই তথ্যও মিলেছে ডিজিটাল সংসদে। সেখান থেকে জানা গেল মুর্শিদাবাদের তিন সাংসদের মধ্যে সবথেকে বেশি উপস্থিতি বহরমপুরের সাংসদের। তৃণমূলের অন্য দুই সাংসদের মধ্যে তিন নম্বরে জঙ্গিপুরের সাংসদ।
আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুর সভায় বহরমপুরের লোক ক’জন?
গত লোকসভায় পনেরটি অধিবেশন (session) হয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪। এই পাঁচ বছরে করোনা মহামারির জেরে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল দেশ। তাঁর আঁচ পড়েছিল লোকসভাতেও। ২৪ মার্চ ২০২০ তে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার একদিন আগেই সংসদে শেষ হয়েছিল ২৩ দিনের অধিবেশন। তবে ওই বছর নভেম্বর থেকে ধীরে ধীরে আনলক শুরু হলেও তার আগে দশ দিনের বাদল অধিবেশন বসেছিল দশ দিনের জন্য। নজিরবিহীন সুরক্ষা বলয়ে সেদিন রাজ্যসভা ও লোকসভা উভয় কক্ষের অধিবেশন বসেছিল ১৪ সেপ্টেম্বর। তার আগে ১৭৫ দিন সংসদে কোনও অধিবেশন হয়নি।
আরও পড়ুনঃ একাধিক মামলায় নাম জড়ানো রিয়াত তৃণমূলের বাজি ভগবানগোলায়
সেই সময় অধীর চৌধুরী দশ দিনই সংসদে উপস্থিত ছিলেন। আবু তাহের খান চার দিন উপস্থিত থাকলেও খলিলুর রহমান একদিনও লোকসভার ওই অধিবেশনে হাজির ছিলেন না। এমনিতেই গত পঞ্চাশ বছরে লোকসভার অধিবেশন কমে অর্ধেক হয়েছে। গত লোকসভায় কোভিড কাল ছাড়াও ২০২২-এর শীতকালীন অধিবেশনও ছিল সংক্ষিপ্ত। ১৩ দিনের জন্য সেই অধিবেশন বসেছিল। সেখানে সব দিন অধীর চৌধুরী, আবু তাহের খান সব দিন উপস্থিত থাকলেও খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন দশ দিন।
সব মিলিয়ে সংসদের ১৫টি অধিবেশেন অধীর চৌধুরীর উপস্থিতির হার ৮৯ শতাংশ, আবু তাহের খানের ৬৪ শতাংশ খলিলুর রহমানের উপস্থিতি ৫৯ শতাংশ.