সংবাদ প্রতিনিধি, মুর্শিদাবাদঃ দাদা ইউসুফ পাঠানকে দেওয়া কথা রাখতে বহরমপুরে এলেন ভাই ইরফান পাঠান। বহরমপুর লোকসভায় দাদা তৃণমূলের প্রার্থী। বাইশ গজের সঙ্গে যাদের একটু আধটু ওঠাবসা তাঁরা জানেন পাঠান ভাইদের পরিচয়। ভোট মরশুমে স্বাভাবিকভাবেই দুই তারকা ক্রিকেটারকে দেখতে ভিড় ভাঙলো ইরফানের রোড শোয়ে। বেলডাঙার বড়ুয়া মোড়ে এই শোয়ের আয়োজন করেছিলেন বিধায়ক হাসানুজ্জামান।
রোদের দাপট কমেছে একটুখানি। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে ছাড়েননি বেলডাঙাবাসী। আকাশে মেঘ থাকলেও ভিড়ে ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁর চলার পথ। বড়ুয়া মোড় থেকে দক্ষিণ পাড়া বেগুনবাড়ি হয়ে যখন কাজীশাহের মাঠে পৌঁছল পাঠান ভাইদের গাড়ি যতদূর চোখ গেল শুধু কালো কালো মাথা। মঞ্চে কে নেই। সর্বক্ষণের সঙ্গী বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, আয়োজক বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ, সভাধিপতি রাবিয়া সুলতানা, বিদায়ী সাংসদ আবু তাহের খান ছাড়াও ব্লক ও অঞ্চল নেতৃত্ব। ভিড়ে কী বলবেন ঠাওরাতে পারলেন না ইউসুফ।
আরও পড়ুনঃ অধীরকে জেতাতে এককাট্টা শিক্ষকরা
সভায় উপস্থিত তৃণমূলের লোকজন বলাবলি করছেন, ” দিন কয়েক ধরে ভিড়টা থিতিয়ে এসেছিল। ইনিংসের শেষ ওভারে বল হাতে খেলা ঘুরিয়ে দিল ইরফান ভাই।” সোমবার মানুষ রায় দেবেন। ফলাফল জানতে জুন হলেও ওইদিনই ঠিক হয়ে যাবে বহরমপুরের হয়ে সংসদে সওয়াল করবেন কে? সে কথা তুলে কেউ কেউ আকাশের মেঘের দিকে তাকিয়ে বললেন, “এই মেঘ কি চিন্তার না কি স্বস্তির?” সে কথা কী পৌঁছল পাঠান ভাইদের কানে?

তবে ইরফানের বহরমপুর আগমন শুনে সকালে দলের জেলা কার্যালয়ে বসে বহরমপুরে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী অধীর চৌধুরী প্রশ্ন করলেন ” গুজরাট থেকে পাঠানরা আসছেন. কিন্তু তারা কেন গোধরা নিয়ে কোনও কথা বলছেন না কেন বিলকিস বানো নিয়ে কোন কথা বলছেন না?” প্রশ্নটা ঘুরে বেড়াল ভিড়েও উত্তর দেওয়ার মতো তৃণমূলের কাউকে অবশ্য পাওয়া গেল না?
ছবিঃ তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া