বিপ্লব মুখার্জী, কলকাতাঃ বামফ্রন্ট পারেনি। কংগ্রেস পারেনি। বিজেপিও পিছিয়ে রাজ্যের ৪২টি আসনে এককভাবে প্রার্থী দিতে। কিন্তু তৃণমূলের পরে রাজ্যের ৪২টি আসনে একমাত্র প্রার্থী দিয়েছে শিবদাস ঘোষের দল। শুধু তাই নয় বৃহত্তম বাম ঐক্যের ডাকও দিয়েছে বঙ্গের এই মার্কসবাদী দল। সিপিএম, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছে শুধু নয় আইএসএফের মত দলকেও সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে। মুখের কথা আর কাজের কথায় মিল না থাকাতেই তাঁরা রাজ্যে এককভাবে লড়াই করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ। মানুষ তাঁদের বক্তব্য বিবেচনা করে প্রার্থীদের জিতিয়ে আনবে। যা শোষিত মানুষের শ্রেণি-সংগ্রাম এবং গণ-আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে বলেও দাবি প্রভাস ঘোষের।
সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের সঙ্গী তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাওয়া যে SUCI-এর অবস্থান নয় তা স্পষ্ট হয়েছিল গত বছর ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে। শিবদাস ঘোষের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজন করেছিল SUCI. সেই সভা করতে তাদের পরোক্ষে সাহায্য করেছিল তৃণমূল, রাজনীতির অলিন্দে এমন কথাই ধাক্কা মারছে দেওয়ালে দেওয়ালে। তাই হয়ত সেদিনের মঞ্চ থেকে বামদল সিপিএম, আরএসপি, ফরোয়ার্ড ব্লককে ধরে ধরে আক্রমণ শানিয়েছিলেন নেতারা। অথচ শাসকদল তৃণমূলের শত দূর্নীতি আদালতে বিচার হয়ে গেলেও সেদিন তুলনায় নরম ছিলেন প্রভাস ঘোষের, দাবি এক বর্ষিয়ান বাম নেতার। তাঁর দাবিকে উসকে দিয়েছে তথ্য। ২০০৯ সালে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে লোকসভা আসন জিতেছিল এসইউসিআই। পরে তৃণমূল ক্ষমতা পেলেও শর্ত সাপেক্ষে সরকারে ঢোকেনি তারা। রাস্তাকেই বদলে বেছে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল দলের পক্ষ থেকে।
ফলত রাজনীতির চর্চাকারীদের পর্যবেক্ষণ রাজ্যে ৪২টি আসনে প্রার্থী দিলেও সর্বত্র যে SUCIএর জয়ের ভেড়ি বাজবে এমনটা নয়। উল্টে এমনকিছু আসন আছে যেখানে SUCI-এর সমর্থকরা তৃণমূলকে জিতিয়ে আনতে অনুঘটকের ভূমিকা নিতে পারে। আর তা হলে ব্রিগেডের প্রতিদান পেতে পারে ঘাসফুল শিবির, মত রাজনীতির কারবারীদের।