শ্লীলতাহানির মামলায় কার্তিকের স্বস্তি সোমবার অবধি

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে কার্তিক মহারাজের আবেদনের রুদ্ধদ্বার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আপত্তি তোলেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, এও আবেদন কার্তিক মহারাজের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল, তাঁর সম্মানের কথা ভেবে। আর সেখানেই অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রশ্ন তোলেন ” একজন মামলাকারির মৌখিক আবেদনে আদালতে রুদ্ধদ্বার শুনানির হুকুম দিতে পারেন।” কেন তিনি বন্ধ এজলাসে তাঁর মামলার শুনানি হোক চাইছেন এরপরেই বিচারপতি কার্তিককে তা লিখিতভাবে জানাতে বলেন।

আগামীকাল শুক্রবার মামলার শুনানি রয়েছে। একইসঙ্গে বিচারপতি আগামী সোমবার পর্যন্ত পুলিশ কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলেও বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের রায়ে ক্ষণিকের স্বস্তি মিলেছে ভারতসেবাশ্রম সংঘের এই সন্ন্যাসীর। জুনের ২৬ তারিখ নবগ্রাম থানায় এক মহিলা কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও গর্ভপাতের অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেছে মুর্শিদাবাদ পুলিশ। মঙ্গলবার বিষয়টির সত্যতা জানতে নবগ্রাম থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল ‘মহারাজ’কে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কার্তিক মহারাজ গ্রেফতার হতে পারেন বলে আন্দাজ করেছিলেন বলে দাবি আইনজীবীদের একাংশের। তাই তিনি মামলা খারিজের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে দাবি তাঁদেরই।

একইসঙ্গে আইনজীবীদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে বিস্মিতও। আইনজীবীদের কাছে মামলার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তাঁরা বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। কেউ কেউ অতীত মামলার সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন, কার্তিক মহারাজকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিতে পারে আদালত। আর এক অংশ আইনজীবীর মতে ” জাতীয় স্তরের একজন প্রখ্যাত মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত এক্ষেত্রে তা করা হয়নি।”

ধর্মগুরুর মুখোশ পড়েছেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সেবক স্বামী প্রণবানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ। এমনটাই দাবি শাসক দল তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের। ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি ও তুলেছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। পাল্টা বিজেপি’র দাবি হিন্দু সন্ন্যাসীর গায়ে কালি লাগিয়ে নির্বাচনের সুবিধা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাই ১৩ বছর আগের কোনও ঘটনা যার কোনও সত্যতা আছে কি নেই তা প্রমাণিত নয় সেই ঘটনা সামনে টেনে এনেছেন পরিকল্পনা করেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights