সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের এক তরুণী চিকিৎসক খুন হয়ে গিয়েছেন রাতের অন্ধকারে কর্তব্যরত অবস্থায়। দেহ মিলেছে আরজিকর হাসপাতালের সেমিনার রুমে। সেখানেই টানা ৩৬ ঘন্টা ডিউটি করতেন পানিহাটির বাসিন্দা ওই তরুণী চিকিৎসক। তাঁর হত্যার তদন্ত চেয়ে পথে নেমেছেন রাজ্যবাসী। কেউ ছবি এঁকে, কেউ গান গেয়ে প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছেন নেট দুনিয়া থেকে রিয়েল দুনিয়াতেও। সেই পথের শরিক হয়েছেন গায়ক অরিজিৎ সিং ও। গানের কথায় তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ” আর কবে আর কবে কন্ঠ শক্তি পাবে/ আর কবে আর কবে চিত্ত স্বাধীন হবে/ আর কবে আর কবে সিক্ত হবে হৃদয়/আর কবে আর কবে শির উঠে দাঁড়াবে।”
কিন্তু সেই গান নিয়ে তাঁকে দু-কথা নিজের মতো করে শুনিয়েছিলেন তৃণমূল দলের প্রাক্তন মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। পাল্টা নাম না করে কুনালকেও ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব দিয়েছিলেন অরিজিৎ। যা নিয়ে দু-পক্ষের ভক্তদের মধ্যে কথা চালাচালি হয়েছিল সমাজ মাধ্যমে। তা থামার আগেই সোমবার আবার সেই প্রসঙ্গ সামনে আনলেন কুনাল। প্রসঙ্গত, আরজিকর হত্যাকান্ডের পর মুখপাত্র পদাধিকারীরা সংবাদ মাধ্যম থেকে দূরত্ব তৈরি করেছেন। দলীয় নির্দেশের বাইরে কেউ মুখে রা’ কাটছেন না। সেই সময় নাগারে প্রায় প্রতি পলে রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক যে কোনও ক্ষেত্রের যে কোনও বিষয়ে মন্তব্য করতে পিছপা হচ্ছেন না কুনাল।
যা নিয়ে সমাজমাধ্যমে ট্রোলও হচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন এই সাংসদ। এমন সময় সোমবার বিকেলে সামনে এল তাঁর আরও এক কীর্তি। এমনিতেই দুঁদে সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত কুনাল ঘোষ একজন সাহিত্যিকও। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধের রয়েছে একাধিক বই। এবার তিনি রাজ্যের এই টালমাটাল সময়ে গীতিকার ও গায়কের ভূমিকায় নামলেন। লিখলেন গান। গাইলেনও। যা অরিজিতের গানের প্যারডি। বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ হিসেবে বললেন, “নমস্কার আমি কুনাল। গায়ক নই। এর আগে দু-একবার গান লিখেছিলাম। চলতি পরিস্থিতিতে একটা চেষ্টা করলাম। তবে পেশাদার গায়কদের মতো গুণগত বিচার করতে যাবেন না। আমি গায়ক নই।”
গাইলেন, ” আর কবে আর কবে আর কবে/ চোখ খুলে মন খুলে গান হবে/আর কবে আর কবে আর কবে/…/ হিন্দিতেও প্রতিবাদ গান হবে/ আয়না খানা সামনে রেখে গান হবে/ মা বোনেরা সত্যিই স্বাধীন হবে/ আর কবে আর কবে আর কবে/…।” সেই গানের শেষে গাইলেন এই দাবানল ছড়িয়ে পড়ুক/ শ্লোগান ভরা মিছিল চাই/ ঘড়ির সময় যাচ্ছে চলে বিচার দাও সিবিআই।“
জিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অরিজিতের ভক্ত বিশাল পোদ্দার যা শুনে বললেন, “একজন পাগল কী বলল কী গাইল তাতে কার কী এসে যায় বলুন। তবে অরিজিতের গানকেই তিনি প্যারোডি হিসেবে গাইলেন। এখানেই আমাদের গায়কের জয়। দু’দিন আগে তৃণমূলের ওই সুবিধাবাদি নেতা অরিজিৎকে কটাক্ষ করেছিলেন। আসলে উনি সকালে যা বলেন বিকেলে তা ভুলে যান। অরিজিৎ দা এসব নিয়ে ভাবেন না।”