সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ লোকসভায় রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে অন্যতম ছিল বহরমপুর আসনটি। সেই আসনে ‘অপরাজেয়’ অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে সদ্য সাংসদ হয়েছেন ইউসুফ পাঠান। শনিবার নব নির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে কালীঘাটের বৈঠকে সবার সামনে পাঠানকে আলাদা করে ধন্যবাদ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক গাল হেসে বললেন, “থ্যাঙ্ক ইউ পাঠানজি।”
আরও পড়ুনঃ দ্বন্দ্বের আড়ালে মৈত্রীর কৌশলেই বাজিমাত তৃণমূলের
বিরোধী তৃনমূল একসময় ধরেই নিয়েছিল অধীর চৌধুরীকে হারানো অসম্ভব। সেই সময় ২০২৪-এ অধীর পিচে ব্যট করতে নেমে একেবারে বোল্ড আউট করে দেবেন ইউসুফ তা ফলাফল ঘোষণার আগেও আন্দাজ করতে পারেননি তৃণমূল নেতাদের কেউই। তিনি নিজে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৫১৬টি ভোট পেয়ে অধীরকে ৮৫ হাজার ২২ ভোটে হারিয়েছেন। আর তাই এদিনের বৈঠকে দলনেত্রীর আলাদা নজরও পেয়েছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতাদের।

মুর্শিদাবাদের আর এক সাংসদ আবু তাহের খান অসুস্থ অবস্থাতেই হেলায় হারিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিমকে। তাঁকেও আলাদা করে ধন্যবাদ দিয়েছেন দিদি। এদিনের বৈঠকে ২৯ জন সাংসদই উপস্থিত ছিলেন। সবথেকে বেশি ভোটে জিতে সাংসদ হওয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন মমতা।
আরও পড়ুনঃ আইএসএফের থেকে NOTA-য় ভোট বেশি পড়েছে মুর্শিদাবাদের দুই আসনে
২০১৯ সালের তুলনায় ৭টি আসন বেশি পেয়ে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তৃণমূল। তাই এদিন সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পুরনো নেতাদের কাঁধেই লোকসভা সামলানোর ভার দিয়েছেন মমতা। ফের লোকসভার দলনেতা হয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভার দলনেতা হয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন। গুরুত্ব বেড়েছে কাকলী ঘোষদস্তিদার ও সাগরিকা ঘোষের। লোকসভার উপ দলনেতা হয়েছেন কাকলী আর রাজ্য সভার উপদলনেতা হয়েছেন সাগরিকা। মমতা নিজে সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান থাকছেন। একইসঙ্গে একশো দিনের কাজের বকেয়া উদ্ধারে নতুন সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টির জন্য সংসদদের পরামর্শ দিয়েছেন মমতা।