
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জয়নগরের পর ফরাক্কা। ৬২ দিনের পর ৬১ দিন। আজ শুক্রবার নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দীনবন্ধু হালদারকে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির হুকুম শোনাল আদালত। অন্য আর এক অভিযুক্ত শুভজিত হালদারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০লক্ষ টাকা জরিমানার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।
আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বছর নয়েকের এক নাবালিকা। ১২ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায়। ওইদিন বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী দীনবন্ধু হালদারের বাড়ির খাটের তলা থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তখনই উপস্থিত বাসিন্দারা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ আহত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের ধারা রুজু করে ঘটনার তদন্তও শুরু হয়। তদন্তে নেমে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুভজিৎ হালদার নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
যদিও পরে পরিবার দাবি করে, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তাই নিয়ে সম্মুখসমরে নামে ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা নেতারা। রঙ লাগে রাজনীতির। রাজ্যের শাসক বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই বিষয়টির নিন্দা করে তদন্তের দাবি তোলে। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ ধর্ষণের মামলা না দিয়ে খুনের মামলা রুজু করে ধর্ষণকান্ড ও ধর্ষককে আড়াল করতে চাইছে। পরে একই অভিযোগ করে পরিবারও। পরিস্থিতি বুঝে ও পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পসকো আইন জুড়ে ফের নতুন করে মামলার তদন্ত শুরু করে ২১ দিনের মাথায় চার্জশীট জমা দেয় পুলিশ।
সাক্ষী ও আদালতে পুলিশের দেওয়া চার্জশীটের উপর নির্ভর করে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের দোষী সব্যস্ত করেন জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় দোষীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবির আবেদন করেন। আজ শুক্রবার বিকেল চারটের সময় বিচারক সাজা ঘোষণা করেন বলে জানান ওই আইনজীবী।
ছবি ইন্টারনেট সূত্রে পাওয়া