
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আজ থেকে মাস দুয়েক আগে নৃশংসভাবে খুন হন আরজিকর হাসপাতালের তরুণী শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। সেই ঘটনায় আন্দোলিত সমাজ। বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ থেকে প্রতিষ্ঠিত নাগরিকও। নিজেদের দাবি পূরণে অনড় চিকিৎসকদের একাংশ অনশনে বসেছেন। তাঁদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে আরজিকরের ৪৭ জন সিনিয়র চিকিৎসক প্রতীকী পদত্যাগ করেছেন। রাজ্যজুড়ে নানানভাবে প্রতিবাদ হচ্ছে। নাটকেও সেই প্রতিবাদের ছবি উঠে আসছে। মঙ্গলবার একাডেমিতে মঞ্চস্থ হয় চেতনা নাট্যগোষ্ঠীর নতুন নাটক “মৃতার ডায়েরী”।
বলা বাহুল্য ওই নাটকের পরিচালক অভিনেতা সুজন মুখোপাধ্যায় ওরফে নীল। নাটক চলাকালীন নির্যাতিতার একটি ছবি আঁকেন আর এক প্রখ্যাত শিল্পী সমীর আইচ। নাটক শেষে একজন দর্শক দশ হাজার টাকার বিনিময়ে তা কিনে নেন। সেই টাকা আন্দোলনকারীদের পাঠানো হবে বলে সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন সুজন। কিন্তু সেই ছবি দেখে একজন বিষয়টিকে “ধান্দাবাজি” বলে কটাক্ষ করেন। মৃণাল চক্রবর্তী নামের ওই ব্যক্তি লেখেন, “বাহ নাটক, ছবি বিক্রি নির্যাতিতাকে নিয়ে ধান্দা ভালোই চলেছে কিছু লোকের। নাটকের নাম টা কি চুপ ধান্দা চলছে!!”
প্রত্যুত্তরে পুরো ঘটনার উল্লেখ করে নীল তাঁকে পাল্টা বলেন, “এই যে দেখছি কারোর কারোর জ্যান্ত চোখে ধান্ধাবাজীর যুগেও অন্য স্বপ্ন ঢোকে।” কার গানের লাইন জানেন???জেনে নিন আর সঠিক তথ্য সহকারে লিখুন…ধর্ষক দের মতো তৎপর হোন।নইলে দেখবেন আপনার আত্মকাহিনী নিয়ে নাটক হবে ” চুপপপ.. মূর্খরা জাগছে”…” যা অধিকাংশজনই সমর্থন করেছেন।
তবে এই ধরনের মন্তব্য ছাড়াও সৈকত দাশগুপ্ত নামে আর এক ব্যক্তি লিখেছেন, “এই অস্থির সময় এই নাটক আবার হোক নীলদা। কাল যখন নাটকটি দেখছিলাম বারবার চোখ ঝাপসা হয়ে উঠছিল। তাই দাদা আবারও বলছি লড়াইয়ের একটি অংশ হিসেবে এই নাটক সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যাক। নিবেদিতা ম্যাডামের সাবলীল অভিনয় প্রতিমুহূর্তে মনে হয়েছে তিলোত্তমা যেন আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছে। এই ভাবেই আমাদের লড়াই জারি থাক। ধন্যবাদ দাদা, অসংখ্য ধন্যবাদ চেতনাকে এমন উপস্থাপনার জন্য।”
প্রসঙ্গত, ওইদিনই রাজ্যের অধিকাংশ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে “বহুরূপী” ও “টেক্কা” সিনেমা। যে দুটিতে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন নীল। দর্শকরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে “লক্ষ্মীছানা”কে।