
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দলের নীতি মেনে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির তরুণ প্রজন্মের নেতা নবব্রত ভট্টাচার্য ওরফে নোটনকে সর্বসম্মতভাবেই বেছে নিলেন সিপিএমের বহরমপুর শহর কমিটির নেতারা। বিকল্পও ছিলেন তিনিই। ফলে শুক্রবার সিপিএমের বহরমপুর এরিয়া কমিটির তৃতীয় সম্মেলনে ভোটাভুটির সম্ভাবনা ছিল না। আর তাই টালিগঞ্জ কেলেঙ্কারি হওয়ারও প্রশ্ন ছিল না। দেবাশিস মিশ্রকে সরিয়ে সিপিএমের বহরমপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক হলেন নোটন। ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়েই রাজনীতিতে প্রবেশ নোটনের। এর আগে ডিওয়াইএফেরও বহরমপুর লোকাল কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
একইসঙ্গে এদিন সতেরো জনের একটি এরিয়া কমিটিও তৈরি হয়েছে। বয়সজনিত ও অন্যান্য কারণে আগের কমিটি থেকে পাঁচজন বাদ গিয়েছেন। নতুন কমিটিতে বছর তেইশের শুভ মজুমদারই সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। একইভাবে নোটন সম্পাদক হওয়ায় জেলা সিপিএমে তুষার দে গোষ্ঠীই প্রাধান্য পেল বলে মনে করছেন শহর রাজনীতির কারবারিরা।
মাস চারেক আগে যখন বহরমপুর শহরে রেজিস্ট্রেশন জটে আটকেছিল টোটো সেই সময় টোটো চালকদের পাশে দাঁড়িয়েছিল সিটু, নোটনের নেতৃত্বে। প্রশাসন নড়েছে। তবে জট এখনও ছাড়েনি। দলের নীতি মেনে অসংগঠিত ক্ষেত্রকে আরও মজবুত করাই বহরমপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক হিসেবে তাঁর লক্ষ্য ছিল। এবার তাঁর কাঁধেই বহরমপুরের দায়িত্ব তুলে দিল সিপিএম।
বহরমপুরে সিপিএমের ভোট ব্যাঙ্ক আছে বলে বিভিন্ন সময় দলের নেতারা দাবি করেছেন। শহরে তাঁদের অস্তিত্ব অবশ্য মানুষ টের পায় না বলেই দাবি সাধারণ মানুষের। ভোটেও তাই শূন্য, মত তাঁদের। এমন ক্রান্তিকালে দলের গুরুভার নিলেন নোটন। যাঁরা একথা বলছেন তাঁদের যুক্তি, স্থানীয় সমস্যা নিয়েও কখনও সিপিএমকে পথে নামতে দেখা যায়নি।
এমনকি আরজিকর কান্ডের জেরে উত্তাল বঙ্গে ডিওয়াইএফের ছেলেরা যখন দিন রাত এক করে আন্দোলনমুখী, তখনও রাজ্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নিজেদেরকে আড়ালেই রেখেছে শহর সিপিএম। যা নিয়ে দলের অন্দরেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। আবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে নিজেদেরকেই শহরে সাইন বোর্ডে পরিণত করেছে সিপিএম, এমন খোঁচা দিতেও ছাড়ছেন না সমর্থকদের একাংশ। নোটন অবশ্য দলীয় নীতি মেনে স্থানীয় স্তরে দলকে প্রাধান্য দিয়ে অসংগঠিত ক্ষেত্রের অভাব অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন। চাইছেন শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
ফিচার ছবিটি তুলেছেন রত্না দাস