
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ফের হিংসার ঘটনা ঘটল বেলডাঙায়। তার জেরে ঘন্টা চারেক বেলডাঙা স্টেশনেই আটকে থাকল ভাগীরথী এক্সপ্রেস। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুজোয় ব্যবহৃত আলোক সজ্জাকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মধ্যে বিবাদ ঘটে। পরে তা হিংসার রূপ নেয়। তার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক ও রেল লাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একাংশ বিক্ষোভকারী।
জেলা পুলিশের বিরাট বাহিনী ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে হাজির হয়। হাজির হন রেল পুলিশের কর্তারাও। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, উত্তেজিত জনতা রেলগেট ফেলতে না দেওয়ার কারণেই ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়। রেল সূত্রে জানা যায়, ওই ঘটনার জেরে শিয়ালদহ ও লালগোলাগামী সব ট্রেন চলাচল থমকে যায়।
এদিকে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন আটকে থাকার ফলে যাত্রীদের মধ্যেও অসন্তোষ শুরু হয়। একসময় ট্রেনে হকার না থাকায় জল কষ্টও শুরু হয় বলে দাবি করেন এক ট্রেন যাত্রী চন্দন মন্ডল। রাত একটা দশ মিনিটে বেলডাঙা থেকে ছাড়ে ভাগীরথী এক্সপ্রেস। ট্রেনের আর এক যাত্রী সুব্রত পাল বলেন, ” ঘটনার আকস্মিকতায় ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। যদিও সশস্ত্র রেল পুলিশের সতর্কতায় নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসি।” শিয়ালদহ থেকে সময়ে ছেড়েও বেলডাঙার অশান্তির জেরে ভাগীরথীর পেছনে স্টেশনে স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় লালগোলামুখী বাকি ট্রেনগুলিও। স্বাভাবিকভাবেই ভোগান্তি বাড়ে যাত্রীদের।
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জেলা তথা রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ” আমাদের আইন মেনে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে। এটা নিয়ে কোন ধরনের ভিডিও বা কোন নিউজ আমাদের গ্রুপ গুলোয় না দেওয়ার অনুরোধ রইলো। সকলে নিজের মতো করে খোঁজ খবর রাখুন। কোন অপপ্রচারে কান দেবেন না, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না, এমন কোন কিছু লেখালেখি করবেন না যেটি “উস্কানি ” বলে গণ্য হতে পারে।”