সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সাধারণ মানুষের অভিযোগের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে তাঁদের পারফর্মান্সের ভিত্তিতে একাংশ পুরকর্মীদের বেতন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বহরমপুর পুরসভা। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই পুরকর্মীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট বহরমপুর পুরসভার ওই পুরকর্মী সহ যাদের বেতন বন্ধ করেছে পুরসভা তাদের তা ফের চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবি রবিউল ইসলাম। আদালতের রায় পেয়ে রবিউল বলেন, “আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুরসভা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে কর্মীদের বেতন বন্ধ করেছে।”
লোকসভা নির্বাচনের পর জুন মাসের মাঝামাঝি বহরমপুর পুরসভার ৫৩ জন কর্মীর বেতন বন্ধ করে দেয় পুরসভা। অভিযোগ, ওই পুরকর্মীদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ যেমন ছিল তেমন তাদের কাজের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল পুরসভা কতৃপক্ষ। সেই সময় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী পাল্টা অভিযোগ করেন, ১৪ জন পুরকর্মী যাঁরা লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে ভোট করেছিল তাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পুর কতৃপক্ষ। এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছিলেন।
যদিও পুরপ্রধান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় সেই সময় বলেছিলেন, ” যাদের বেতন বন্ধ করা হয়েছে তাদের অনেকেই তৃণমূল করেন। আমরা দল দেখে নয়। সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওদের শোকজ করা হয়েছে। ওরা সময়ে সদুত্তর না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সেই সিদ্ধান্ত কেউ মেনে না নিলে তাঁরা আদালতে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন পুরপ্রধান। এদিন পুরপ্রধান বলেন, ” আদালতের নির্দেশ হাতে পাইনি। ঠিক কি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেখে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।”