ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার একের পর এক নিথর দেহ, ওয়েনাড়ের ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন রাহুল, প্রিয়ঙ্কা

Social Share

সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চারদিকে শুধু হাহাকার। স্বজন হারানোর কান্না। ভয়াবহ ভূমিধস কেড়ে নিয়েছে শ’তিনেক তাজা প্রাণ। নিঁখোজ এখনও অনেক। উদ্ধারকারীরা মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন যদি প্রাণের খোঁজ মেলে। যদিও তা মীরাকেল ছাড়া অসম্ভব, বলছেন নিজেরাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে কার্যত থ হয়ে গিয়েছেন ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিন অবশ্য বলেছেন, “ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে।” একশোটি পরিবারকে কংগ্রেস বাড়ি বানিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন লোকসভার এই বিরোধী দলনেতা। এদিন রাহুলের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন তথা সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, যিনি উপনির্বাচনে এই ওয়েনাড় থেকেই কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন।

গত সোমবার থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয় কেরলের ওই পাহাড়ি গ্রাম কালপেট্টা, চুরালমালা, মুন্ডাক্কাই-সহ ওয়েনাড়ের বেশ কিছু জায়গায়। সেই বৃষ্টির জেরে সোমবার রাত থেকেই ভূমিধস নামে। টানা বুধবার পর্যন্ত প্রকৃতির তান্ডব চলতে থাকে। তারই তান্ডবে তলিয়ে যায় একের পর এক গ্রাম। এখনও পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষকে যদিও উদ্ধার করা গিয়েছে। তাদের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে প্রাণের খোঁজ পেতে নামানো হতে পারে ড্রোন।

এই ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে বনভূমি কেটে ফেলা, মাটি খননের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি। এমনিতেই জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে। এই দুইয়ের চাপেই ভূমিধস নেমেছে বলে আবহাওয়াবিদ, বিজ্ঞানীরা জানালে ঘটনাস্থলে তাঁদের যেতে নিষেধ করেছে বিজয়ন সরকার। যদিও পরে সেই নিষেধাজ্ঞা চাপের মুখে তুলে নিতে বাধ্য হয় বলে সর্বভারতীয় সংবাদসূত্রে দাবি। এরইমধ্যে এই ভূমিধসের আগাম সতর্কবার্তা পাঠানো নিয়ে তর্কে জড়িয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

অমিত শাহের দাবি, কেরলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় সেখানে এনডিআরএফের দল আগেই পাঠানো হয়েছিল। সতর্কও করা হয়েছিল কেরল সরকারকে। কিন্তু এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে হালকাভাবে নেওয়ায় মৃত্যু মিছিল দেখা গেল সেখানে।” তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে বিজয়ন পাল্টা বলেন, ” কেন্দ্র কোনও সতর্কবার্তা পাঠায়নি। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়ে আইএমডি কমলা সতর্কতা পাঠিয়েছিল।” তবে জিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা জিএসআই জানিয়েছে, বারবার বলা সত্বেও পাহাড়ি এলাকায় সতর্কবার্তা দেওয়ার পদ্ধতি এখনও চালু করা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights