
সংবাদ হাজারদুয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হিংসা কবলিত ধুলিয়ান, শমসেরগঞ্জ ঘুরে শনিবার বিকেলেই মুর্শিদাবাদ ছেড়ে চলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার কিছুক্ষণ পরেই এলাকাবাসীর কাছে লিখিতভাবে শান্তির আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এলাকার মানুষকে শান্ত থাকতে, ঐক্যে থাকার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ” বিজেপি ও তাঁদের সঙ্গীরা পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ খুব আক্রমণাত্মক হয়েছে। এই সঙ্গীদের মধ্যে আরএসএসও আছে। আমি আগে আর এস এসের নাম নিইনি। কিন্তু এবার বাধ্য হয়েই বলতে হচ্ছে যে, রাজ্যে যে কুশ্রী মিথ্যার প্রচার চালছে তার মূলে তারাও আছে।” তিনি আরও লিখেছেন, ” একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতটিকে এরা ব্যবহার করছে-বিভেদের রাজনীতি করার জন্য। …এ খেলা বিপজ্জনক।”
আইন শৃঙ্খলার যে অবনতি হয়েছে মুর্শিদাবাদের উত্তরে তার জন্য রাজ্য প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। সুতি ও শমসেরগঞ্জের ওসিদের সরানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। আরও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সে কথা জানিয়ে তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, ” দয়া করে মনে রাখবেন, দাঙ্গা যারা ঘটায়, তারা হিন্দুও নয়, মুসলমানও নয়- দাঙ্গা বাধায় দূবৃত্তরা। সব অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড়া হবে না।” তিনি বলেছেন, ” বাইরে থেকে এসে যে লোকগুলি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জন্ম দেয় এবং সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দাঙ্গার জন্ম দেয়- তাদের বিশ্বাস করবেন না। ঈর্ষার কোনও ওষুধ নেই।”
অথচ ক্ষতিগ্রস্থ জাফরাবাদ, বেতবোনা, ঘোষপাড়ার মানুষজন যাঁরা এখনও ঘরছাড়া, যাঁদের সঙ্গে আজ দেখা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, জাতীয় মানবাধিকার ও জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা তাঁরা বলেছেন, ” মমতার পুলিশকে বিশ্বাস নেই। বিএসএফ ক্যাম্প চাই। ঘরে ফিরলে আমাদের ফের ঘর ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না। নিরাপত্তা চাই।”